নাম তার কামরুজ্জামান। কিন্তু অপকর্মের জন্য সেই নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে চেনম্যান। আদালতে শুনানির সময় তাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি চিন্তিত নন।  তবে ভেতরে যে দুশ্চিন্তা তোলপাড় করছে তাকে, সেটা বুঝতে পারেনি কেউ। অথচ রায় ঘোষণা হতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না তিনি।  মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনেই থরথর করে কেঁপে উঠলো তার সারা শরীর। সাদা জামা পরা মাঝারি গড়নের কামরুজ্জামান। একের পর এক মানুষকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা চলেছে বিভিন্ন আদালতে। তারই মধ্যে ভারতের কালনার সিঙ্গের কোনে নাবালিকাকে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় তার মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করল কালনা আদালত। গতকাল সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বিশেষ পুলিশি পাহারায় আদালতে নিয়ে আসা হয় কামরুজ্জামানকে। তখন তার হাঁটাচলা ছিল বেশ স্বাভাবিক। একেবারেই কাউকে সেভাবে বিবেচনায় নেন না ধরনের হাবভাব।  যেন কিছুই হয়নি- এমনই তার দেহ ভঙ্গিমা।  বেলা ১টার কিছু আগে তাকে আদালত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বিচারক নিয়ম অনুসারে সাজা ঘোষণার আগে বাদি বিবাদির বক্তব্য শোনেন।  দোষী সাব্যস্ত কামরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সম্পূর্ণ নির্দোষ। মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পরই সিঙ্গের কোনে নাবালিকার বাড়িতে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ, হত্যা, ধর্ষণ ও নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তাকে মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। সে কথা শুনেই কেঁপে ওঠেন চেনম্যান 'সিরিয়াল কিলার' কামরুজ্জামান। এরপর স্থির হয়ে যান।