বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তির ঘটনায় সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন দায়ী কিনা তা নিশ্চিত হতে আরেক দফা তদন্ত করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৫ জুলাই) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।এদিকে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা বিভাগীয় মামলার সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, তিনি সাজার আদেশে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর তিনি সাজার পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন বলে দাবি করেছেন।বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রবিবার (৫ জুলাই) রাতে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, 'বিভাগীয় মামলা চলছে, বিষয়টি এখনও তদন্ত পর্যায়ে।'
বিভাগীয় মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, 'আগে থেকে কিছু বলা যাবে না। আগের তদন্ত রিপোর্টসহ অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য আরেক জনকে তদন্ত করতে দেওয়া হবে।' নতুন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের পর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে বলেও জানান সচিব।সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এর আগে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের তদন্ত প্রতিবেদনে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ সংশ্লিষ্টদের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ঘটনার পর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যাহার সংশ্লিষ্টদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যাস্ত করা হয়।
সাংবাদিক আরিফকে শাস্তি দেওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে স্বাক্ষরকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ১৮ জুন বিভাগীয় মামলার জবাবে জানান, 'তিনি সাজার আদেশে (পরোয়ানায়) স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।'গত ১৮ জুন নির্বাহী বিভাগীয় মামলায় অভিযোগের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা আর জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার কথা বলে তাকে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন আরডিসি নাজিম উদ্দিন।