রিমান্ডে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১৯:২০
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষার্থী তিন মাসের ভাড়া না দেয়ায় তাদের শিক্ষাসনদ ও মালামাল গায়েব করার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা পূর্ব রাজাবাজারের আলিফ নামের একটি ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ আলম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আজ রোববার (৫ জুলাই) একদিনের রিমান্ড শেষে খোরশেদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব হোসেন।
প্রতিবেদনে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (৩ জুলাই) খোরশেদকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ খোরশেদকে গ্রেফতার করে।
রাজধানীর গ্রিন রোডের বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ৫০ শিক্ষার্থী রাজাবাজারে আলিফ নামের একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিন বেলা থাকা–খাওয়ার খরচসহ মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকা দিতে হতো।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে সব শিক্ষার্থী তাদের কক্ষে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান। কিছুদিন আগে জানতে পারেন, ছাত্রাবাস মালিক খোরশেদ আলম গত এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসের ভাড়া না পেয়ে তাদের কক্ষ ভেঙে চেয়ার-টেবিল, বই-খাতা, আসবাবপত্রসহ মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন।
খবর শুনে বুধবার সকালে ৫০ শিক্ষার্থীর সবাই ঢাকা আসেন। শিক্ষার্থীরা খোরশেদকে ফোন করলে তিনি এসে বলেন বকেয়া টাকা দিলে মালামাল দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের চাপে বুধবার রাতে যেখানে তাদের মালামাল রাখা হয়েছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, তাদের প্রত্যেকের সুটকেসের তালা ভাঙা। লেপ, তোশক ছাড়া কোনো মালপত্রই নেই।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সোহান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন।