চলচ্চিত্রের দুর্দিনে কোথায় আছেন পর্দা কাঁপানো সেই কাবিলা?

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১৪:১৩

এক সময় ছিলেন ফুটবলার। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে আশি দশকে প্রথম বিভাগে ফুটবল খেলেছেন। তিনি ছিলেন ডিফেন্ডার। বল নিয়ে তার সামনে এলে অনেক ফুটবলারই ঘাবড়ে যেতেন। ফুটবল থেকে হঠাৎ চলচ্চিত্রে পা রাখেন। নজরুল থেকে তার নাম দেয়া হয় কাবিলা। ১৯৮৮ সালে ‘যন্ত্রণা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। প্রথমদিকে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পরবর্তীকালে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। প্রায় হাজারের উপর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

তাকে নিয়ে লিখেছেন অরণ্য শোয়েব- কৌতুক অভিনেতা হিসেবে কাবিলা যখন অভিনয় শুরু করলেন তখন তার কণ্ঠে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পর্দায় তার চালচলন, পোশাক, অভিনয় দেখে দর্শক হাসিতে লুটিয়ে পড়েন। নির্মাতাদের কাছে তিনি হয়ে উঠেন অনিবার্য এক অভিনেতা। হঠাৎ করেই তিনি তার কণ্ঠনালীতে ভয়াবহ অসুখ দেখা দেয়। দুই বছর আগে গলায় অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে। কিছুটা সুস্থ হলেও তার স্বভাবসুলভ স্বরে কথা বলতে পারেন না কাবিলা। তাই সিনেমায় আগের মতো কাজ করেন না। বেছে বেছে পছন্দ হলে টুকটাক অভিনয় করার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে তার সংলাপ ডাবিং করা হয়। এই মুহূর্তে সময় কাটছে তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে।

কাবিলা জানান, ‘প্রায় দুই সপ্তাহের মতো হয়েছে আমি এখানে এসেছি। আগে ঢাকাতেই ছিলাম। এখানে এসেছি একটু ভালো লাগছে। প্রাণ ভরে খোলা হাওয়াতে হাঁটা চলা করা যাচ্ছে। ব্যায়াম করছি। নিজেকে ফিট রাখছি। আসলে গ্রামে আসলে আমার খুবই ভালো লাগে।’ গ্রামে সময় কাটছে কি করে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্রামে আমার একটি বাগান বাড়ি আছে। এখানে শুটিং স্পট করার চিন্তা ভাবনা করছি। এই বাগানবাড়ি নিয়েই এখন সময় কাটছে। তাছাড়া দুটো পুকুর আছে সেখানে মাছ চাষ হচ্ছে। এখানে ‘কাবিলা ফুটবল একাডেমী’ নামে একটি স্পোর্টস ক্লাবও।

মাঝে মধ্যে সেখানে গিয়ে ছেলেদের বিভিন্ন টিপস দিই। আড্ডা দিই। এভাবেই সময় কেটে যায়।’ ‘ঢাকায় কিছু কাজ আছে। চলতি মাসের ৭ তারিখে যাবো। সেখানে কাজগুলো গুছিয়ে আবার গ্রামে আসবো’- যোগ করেন কাবিলা। নিজের সিনেমার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে মজার মানুষ কাবিলা জানান, ‘শেষ শুটিং করেছিলাম দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ ছবির জন্য। এরপর কিছু নতুন সিনেমার ব্যাপারে কথা হলেও এখন করোনার জন্য সব বন্ধ আছে। অবস্থা পরিবর্তন হলে কিছু কাজ করবো। এই গলা নিয়ে কাজ করতে কষ্ট হয়। তবুও করতে হবে। কারণ এটা তো পেশা।’ ‘তবে যেটা মনে হচ্ছে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে সময় লাগবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us