দ্রুত বিদ্যুৎ পেতে দেশে চালু হওয়া কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট যুগের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। সরকার বলছে, নবায়ন করা হবে না আর কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ। যদিও বিদ্যুৎখাতে বছরে ভর্তুকি সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বড় অংশই ব্যয় হয় এসব প্ল্যান্টের পেছনে। বিশ্লেষকদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কেন্দ্র বন্ধ করতে পারলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় সম্ভব প্রতিবছর। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময়, দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিলো মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট; বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম মানুষ।
সে সময়ে শিল্প ও কলকারখানার প্রসারসহ সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে, তেল ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্তে আলো আসতে শুরু করে দেশে। ২০১০ সালে এসব কেন্দ্র চালুর পর, সরকার বলেছিলো তিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে বিলুপ্তি ঘটবে কুইক রেন্টালের। কিন্তু, বছর বছর চুক্তি নবায়নের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। বর্তমানে দেশের ১৩৭ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে কুইক রেন্টাল রয়েছে ১১টি আর রেন্টাল ৯টি।
এসব কেন্দ্র জ্বালানি কিংবা কারিগরি সংকটে উৎপাদন না করলেও ভাড়া বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ বছরে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় সরকারকে। বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল এরই মধ্যে ১২ টি রেন্টাল প্ল্যান্ট বন্ধ হয়েছে জানিয়ে বলছে, ভাড়ায় চালিত আর কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ নবায়ন করা হবে না। ডিজি পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা, যেটা বিপিটিপির জন্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। ক্যাপাসিটির বড় একটি অংশ সেখানে ভাগ করে দিতে হয়। যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র খরচ বেশি সেগুলো আর করা হবে না। বিশ্লেষকদের দাবি, অযাচিতভাবে এসব কেন্দ্র এখনো উৎপাদনে রয়েছে।