করোনাভাইরাসে স্তব্ধ গোটা দুনিয়া। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস মোকাবিলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা বিধিনিষেধ। যদিও কিছু দেশ সংক্রমণ কমতে থাকায় লকডাউন শিথিল করছে। তারপরও এতে পুরো দুনিয়া বিপর্যস্ত এই ভাইরাসের থাবায়।
গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এরপর ছয় মাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫ লাখ ৮ হাজার। তবে এর মধ্যে আশার কথা হলো- এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৯১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮০৩ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৫৭ হাজার ২৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৬ জন।
বিশ্বে বর্তমানে ৪৩ লাখ ১ হাজার ১১৫ জন শনাক্ত করোনা রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৭০২ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর বাকি ৫৭ হাজার ৭৮২ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্ত ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৭১, সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ২৯ হাজার ৪৭, মারা গেছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৮০ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।
আর করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮৩ হাজার ৫৩১, সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৬৯, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
করোনায় দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের। সেখানে আক্রান্ত ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯২, সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৬, মারা গেছেন ১৭ হাজার ৪১০ জন।
পাকিস্তানে আক্রান্ত ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩৭, সুস্থ হয়েছেন ৯৮ হাজার ৫০৩, মারা গেছেন ৪ হাজার ৩০৪ জন।
বাংলাদেশে আক্রান্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩, সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬২৪, মারা গেছেন ১ হাজার ৮৪৭ জন।