পূর্ব লাদাখে চীনের সঙ্গে সাত সপ্তাহ ধরে সীমান্ত উত্তেজনার জেরে ভারত মহাসাগরে নজরদারি অভিযান ও সরঞ্জাম মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ নৌবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্কেও গতি এনেছে তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তার চিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকায় এসব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী।এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন (সোমবার) উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত ও অপর ৭৬ জন আহত হয়। ভারত দাবি করে আসছে, চীনের অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে। তবে চীন সরকারিভাবে কোনও হতাহতের খবর জানায়নি। দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। দুই দেশের এই উত্তেজনার মধ্যে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর খবর সামনে এলো।
গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী এবং জাপানের নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ একটি মহড়ায় অংশ নেয়। ওই অঞ্চলে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ ও সাবমেরিন প্রায়ই চলাচল করে। ওই মহড়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ আইএনএস রানা ও আইএনএস কুলিশ অংশ নেয়। অপর দিকে জাপানি নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ জেএস কাসিমা এবং জেএস শিমায়ুকি অংশ নেয়।লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা এবং দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনা নৌবাহিনীর আগ্রাসী আচরণের মধ্যে ভারত ও জাপানের ওই যৌথ মহড়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ভারতীয় সূত্র বলছে, ‘ওই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বাড়ানো।’এনডিটিভি বলছে, প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন সামরিক প্রভাব বাড়াতে শুরু করায় এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ফ্রান্সের নৌবাহিনী পারস্পারিক সহযোগিতা জোরালো করা শুরু করেছে।গত ১৫ জুন লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘাতের পর নিজেদের তিন বাহিনীকেই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে ভারত।