You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বাঁচার জন্যই খেলতে হবে

সাতসকালেই খবরটি দেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল—তৃতীয় বিভাগের এক ক্রিকেটার সংসারের ভার বইতে ব্যাট ফেলে হালচাষে সঁপে দিয়েছেন নিজেকে। ‘খুবই কষ্টের খবরটা। সত্যি বলতে কি, জাতীয় দল এবং প্রথম শ্রেণির এলিট গ্রুপ বাদ দিলে বাকিদের অবস্থা শোচনীয়’, উপলব্ধি তাঁর। সেই বাকিদের আনুপাতিক সংখ্যাটা দেশের যেকোনো সেক্টরের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ৯১। আর কোয়াবের সদস্য, যাঁরা এখনো খেলছেন, সেই সংখ্যাটা অন্যূন এক হাজার। প্রিমিয়ার, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ এবং কয়েকটি জেলার লিগে খেলেন এঁরা। করোনা মহামারি রূপ নেওয়ার পর সেই মার্চ থেকে যাঁরা কর্মহীন। কর্মহীন মানে কানাকড়িও আয় নেই। তাঁদের জীবন নির্বাহ হচ্ছে কী করে? বিসিবি সাহায্য করেছে অবশ্য। সাবেক এবং বর্তমান মিলিয়ে প্রায় ১৬ শ ক্রিকেটারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে। তবে জনপ্রতি সেই অনুদানের পরিমাণটা যৌক্তিক কারণেই মার্চ-জুন সংসার পরিচালনার জন্য অতি নগণ্য। চুক্তির বাইরের ৮০ শতাংশ ক্রিকেটারের কথা বাদ দিন। যাঁরা বিসিবির ফার্স্টক্লাস কন্ট্রাক্ট পেয়েছেন, তাঁদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ২৮ হাজার আর সর্বনিম্ন ২১। বিনা কড়ির চেয়ে ২৮ কিংবা ২১ মোটেও কম নয়। তবে দেবব্রত পাল অঙ্ক কষে জানিয়ে দিচ্ছেন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররাও স্বস্তিতে নেই, ‘বেতন যারা পায়, তাদেরও মূল উপার্জন কিন্তু ঘরোয়া লিগ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে এরা ১০ লাখের মতো পেয়ে থাকে। জাতীয় লিগ থেকে আরো সাড়ে তিন লাখের মতো। খেপ (ভাড়ায় খেলা) বাদ দিলেও বছরে এদের আয় কম করে হলেও সাড়ে ১৬ লাখ। বিপিএল বাদ দিলাম। কারণ ওরা সবাই তো আর বিপিএলে দল পায় না। সেখানে করোনার কারণে বছরে ওদের আয় নেমে হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। আপনি বলতে পারেন কম কী? আমাদের দেশের অর্থনীতি বিবেচনায় কম নয়। তবে একজন ক্রিকেটারের চাহিদা বিবেচনায় এটা কোনো টাকাই না।’ আরো করুণ দশা প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটারদের। এঁদের কেউই বিসিবির চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নন। প্রথম বিভাগের গুটিকয় ক্রিকেটার মৌসুমে সাত-আট লাখ টাকা পান ক্লাব থেকে। বাকিরা লাখের আশপাশে। তবে তাঁদেরও বাত্সরিক উপার্জন ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেত অনায়াসে। কারণ ‘খেপে’র দুনিয়ায় এঁদের অবিশ্বাস্য চাহিদা। ‘একেকজন ম্যাচপিছু ১০ হাজারের মতো পায়। আর এক জেলায় গেলে চার-পাঁচটা ম্যাচ খেলে। এখন সবই বন্ধ’, ক্রিকেটারদের সংগঠনের নেতা হিসেবে উদ্বেগ হওয়ারই কথা দেবব্রতের। এই উদ্বেগ দূর করার একটাই উপায়—খেলায় ফেরা। ‘অনুদান দিয়ে আপনি কত দিন চলতে পারবেন? চার মাস হয়ে গেল। আরো কত মাস বসে থাকতে হয় জানি না। তাহলে চলবে কী করে? মাঠে আমাদের ফিরতেই হবে’, সংকট থেকে উত্তরণের আর কোনো পথ দেখছেন না কোয়াব সম্পাদক। কিন্তু সেই ফেরা হবে কবে? ‘এ মাসের (জুন) ১৭ তারিখ আমরা ভিডিও কনফারেন্স করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আরেকটা মাস দেখব। সে হিসাবে জুলাইয়ের ১৭ তারিখের পর আমাদের একটা পথ বের করতেই হবে’, দেবব্রতের সেই পথটা মাঠে ফেরার। এটা বোধগম্য যে দেশের সিংহভাগ ক্রিকেটার থেমে থাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া। রুটি-রুজির ব্যাপার যে। ওদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সাফ কথা, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করার সামর্থ্য আমাদের নেই।’ সামর্থ্য বলতে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জটিলতাকে বুঝিয়েছেন তিনি। কারণ কে না জানে, লিগ শুরু করতে গেলেই ক্লাবগুলো বোর্ডের দিকে তেড়ে আসবে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধির খরচ চাইতে। আর বোর্ডের পাওয়ার হাউস তো ক্লাব কর্মকর্তারাই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন