২০১৮ সালের মে মাসে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সাড়ে তিন কোটিরও বেশি গ্রাহকের পরিবার রিয়েলমি। স্মার্টফোনের পাশাপাশি রিয়েলমি সম্প্রতি এআইওটি পণ্য আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেজন্য ইতোমধ্যে কিছু এআইওটি পণ্য বাজারেও এনেছে। তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে ব্র্যান্ডটি নতুন "১+৪+এন" প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজি হাতে নিয়েছে। নতুন এই স্ট্র্যাটেজির তিনটি প্রধান উপাদান হলো– একটি প্রধান পণ্য, চারটি স্মার্ট হাব, এবং ‘এন’ এআইওটি পণ্য।
শুরু থেকেই রিয়েলমির প্রধান লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের প্রতিদিনের প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণের জন্য তাদের হাতে শক্তিশালী স্মার্টফোন তুলে দেয়া। প্রতিষ্ঠানটি যে স্মার্ট ইকোসিস্টেম নির্মাণের কাজ শুরু করেছে, তাতে সকল এআইওটি পণ্য রিয়েলমির লিংক অ্যাপ ব্যবহার করে রিয়েলমি স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাবে। চারটি স্মার্ট হাবের মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ইয়ারফোন, স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট স্পিকার।
প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা বাড়াতে রিয়েলমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির প্রথম ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও রিয়েলমি বাডস এয়ার নিও এবং রিয়েলমি ব্যান্ড এনেছে। টেক-ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ডটি শিগগিরই বাংলাদেশে স্মার্ট টিভি, স্মার্ট স্পিকার, স্মার্টওয়াচ এবং হেডফোনসহ আরো স্মার্ট পণ্য আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সাম্প্রতিক স্র্যাপিটেজিতে 'এন'– রিয়েলমি যে সকল নতুন এআইওটি এবং লাইফস্টাইল পণ্য আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলোকে ইঙ্গিত করে।
এ সকল পণ্যের মধ্যে ইন-কার চার্জার থেকে শুরু করে ব্যাকপ্যাক, স্টাইলিশ লাগেজ কেসসহ নানান পণ্য আনা হবে যেগুলো স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই স্ট্রাটেজির প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন এআইওটি পণ্যের ব্যবহারে বাসা, অফিস এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরো সমুন্নত করা। ব্যবহারকারী যেখানেই থাকুক না কেন, ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে সবসময়ই স্মার্ট ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকবে।
রিয়েলমি ইতোমধ্যে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া সহ ২৭টিরও বেশি দেশে স্মার্টফোন বাজারে প্রবেশ করেছে। ২০১৯ সালের মে মাসে রিয়েলমি ইউরোপে তাদের পণ্যসামগ্রী বিক্রি শুরু করে। স্টাইলিশ ডিজাইনের শক্তিশালী সব ডিভাইস নিয়ে টেকট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ডটি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তরুণদের মন জয় করে নেয়।