You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ক্রিকেটে আমরা এগোনোর বদলে পিছিয়েছি: সাবের হোসেন চৌধুরী

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ২০০০ সালের ২৬ জুন দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে টেস্ট খেলার মর্যাদা দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ ঐতিহাসিক ওই স্বীকৃতি অর্জনের ২০ বছর পূর্ণ করেছে গতকাল (শুক্রবার)। কিন্তু টেস্টে ২০ বছরে কতদূর এগিয়েছে দেশের ক্রিকেট। টেস্টে বাংলাদেশের অর্জনই বা কী? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর হাত ধরে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনি মনে করেন, বিশ বছর আগে যে জায়গায় যাত্রা শুরু হয়েছিল, এখনও ঠিক সেই জায়গাতেই আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এগোনোর বদলে বরং পিছিয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুন) ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেকাল ও একাল নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী যা বলেছেন তার পরতে পরতে আসলে হতাশার চিত্র। যে লক্ষ্য সামনে রেখে ২০ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ, তা কতটা পূরণ সম্ভব হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দেখেন এটাকে দুইভাবে করা যায়। একটা হচ্ছে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত দেব, বিশ্লেষণ করব। আমার মনে হয় সবার আগে পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো উচিৎ। কারণ আমি আমার মতামত ব্যক্ত করলাম, তা নিয়ে কোন কথা উঠতেই পারে। আমি যদি পরিসংখ্যান ঘেটে পরিসংখ্যানের আলোকে কোন কথা বলি তাহলে তো আর কথা ওঠার সুযোগ নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন আমরা ২০ বছরে ১১৯টি টেস্ট খেলে জিতেছি মোটে ১৪টিতে। তার মানে বছরে একটি টেস্টও জেতা সম্ভব হয়নি, ৮৯ টেস্ট হেরেছি। আবার যদি ওই ১৪ জয়ের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন সাতটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বিশ্ব ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের অবস্থান তো এখন ভালো না। এখানে আমাদের অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সাথে একটি করে টেস্ট জয় ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেও চারটি টেস্ট জয় আছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জিতেছি আমরা। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এখনও টেস্ট জয় ধরা দেয়নি, গর্বেরও কিছু নেই।’ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি সার্বিক অবস্থার আলোকে বিশ্লেষণ করলে বলব, আমরা মোটেই এগোতে পারিনি। এখন আমাদের প্রচুর অর্থ আছে। একসময় আমি, সৈয়দ আশরাফুল হক আর তানভির মাজহার তান্না আমরা যে আইসিসির সভায় যোগ দিতে যেতাম, বোর্ডের সেই বিমান ভাড়া বহনের সামর্থ্য ছিল না। আমরা ব্যক্তিগত খরচে গিয়েছি। আমরা অনেকেই নিজের পকেট থেকে খরচ করতাম। জাতীয় দলের অনেক ট্যুরে যাওয়ার আগে আমাদের অনেকের কাছে টিকিট চেয়ে তারপর ক্রিকেটারদের পাঠাতে হতো।’ বিসিবির সাবেক সভাপতি বলেন, ‘এখন যদি একটা স্কোরকার্ড দেখি, বিশ বছর আগে যে জায়গায় যাত্রা শুরু করেছিলাম, এখনও ঠিক সে জায়গাতেই আছি। আপনি যদি কয়েকটি টেবিলের দিকে তাকান, আইসিসির একটি টেবিল আছে, সেখানে ৯টা দেশকে দেখাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ সবার নিচে। আমাদের নিচে আর কেউ নেই। আবার ক্রিকইনফোর টেবিলে যান তাহলে দেখবেন আফগানিস্তানও আমাদের ওপরে। অর্থাৎ যে দেশটি মাত্র তিন বছর আগে টেস্ট স্ট্যটাস পেল, যে দেশের জাতীয় পর্যায়ের কোন কিছুই ঠিক নেই। যারা অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। সন্ত্রাসবাদ তাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় সমস্যা। অর্থনৈতিক সমস্যা আর সুযোগ সুবিধার ঘাটতিও বেশ। তারপরও তিন বছরে মাথায় এসে বাংলাদেশের মাটিতে এসে তারা বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল। পয়েন্ট টেবিলে আফগানিস্তানও বাংলাদেশের ওপরে চলে গেছে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন