কয়েকদিন ধরে অনবরত ট্রলের স্বীকার হচ্ছেন করন জোহর, কারিনা কাপূর খান, আলিয়া ভাট, সোনাক্ষী, সোনম কাপূরেরা। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে স্বজনপোষণের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে স্টারকিডরা নিশানা হচ্ছেন। আর করনকে তো সেই কবে থেকে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘নেপোটিজ়মের ফ্ল্যাগ বেয়ারার’ বলে। এই পরিস্থিতিতে সোনাক্ষীর মতো অনেকে টুইটার ছেড়েছেন। ট্রলদের হাত থেকে রেহাই মিলছে না ইনস্টাগ্রামেও। সেখানে তারকাদের কমেন্ট বক্স, মেসেজ বক্স ভরে যাচ্ছে নেতিবাচক মন্তব্যে।
অনেক ক্ষেত্রেই তা গালিগালাজের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যে কারণে করিনা, আলিয়ারা তাঁদের কমেন্ট বক্সে লিমিটেড অ্যাকসেস করে দিয়েছেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সংখ্যক মেসেজই সেখানে আসতে পারবে। এঁদের পোস্টে কমেন্ট করতে গেলে দেখাবে, ‘কমেন্টস অন দিস পোস্ট হ্যাভ বিন লিমিটেড।’ এই ধরনের ফিল্টার থাকার ফলে যে কেউ আর তাঁদের প্রোফাইলে কমেন্ট করতে পারবে না। ট্রোলিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে এই পথই নিয়েছেন সোনম, করন, সোনাক্ষীর মতো তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একতা কাপূরও। সুশান্তকে প্রথম সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনিও কমেন্ট বক্স ফিল্টার করেছেন। তবে সব তারকা যে এই পন্থা নিয়েছেন, এমন নয়।
সুশান্তের মৃত্যুর পরে সালমান খানও ট্রলড হয়েছেন। কিন্তু তিনি অ্যাকসেস লিমিটেড করেননি। এ ক্ষেত্রে সালমান মুখ না খুলে তাঁর ভক্তদের সংযত আচরণ করতে বলেছেন। দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিংহ, অনুষ্কা শর্মা, হৃতিক রোশন, শ্রদ্ধা কপূরের অ্যাকাউন্ট আগের মতোই রয়েছে। মূলত সুশান্তের মৃত্যুর নেপথ্য কারণ হিসেবে যাঁরা নেটিজ়েনের রোষের মুখে পড়েছেন, তাঁরাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই মুহূর্তে দূরত্ব বজায় রাখছেন।