এমন পারফরম করছিলেন যে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করেও ফুটছিলেন তিনি। সে কারণেই অনেক কিছুকে অগ্রাহ্য করতে শুরু করেছিলেন। খ্যাতির চূড়ায় থেকে নানা ধরনের মানুষের সংস্পর্শও দায়িত্বের কথা ভুলিয়ে দিয়েছে অনেক সময়। আবার অনেক কিছুকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রবণতাও ছিল। ছিল সব কিছুকে গুরুত্ব না দেওয়ার মানসিকতা। এই সব কিছুরই যোগফল জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে সাকিব আল হাসানের নিষিদ্ধ হওয়া। আর কেউ নন, এই অলরাউন্ডার নিজেই তাঁর নিষেধাজ্ঞার পেছনের কারণগুলো এভাবে একের পর এক সাজিয়েছেন।
মন খুলে সেসব বলেছেনও ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে। অবশ্য নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কম হওয়াকে নিজের সৌভাগ্য বলেও মনে করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আমি বিষয়টিকে একটু বেশিই হালকাভাবে নিয়েছিলাম মনে হয়। এখানে (সাক্ষাৎকারে) সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না। দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর বুঝলাম তারা সব কিছু জানে। ভেতর-বাইরের খুঁটিনাটি সব কিছুই। আমিও সব প্রমাণ দিলাম।
সত্যি বলতে কি, এই কারণেই নিষেধাজ্ঞা পেয়েছি মাত্র এক বছরের। না হলে আমি নিষিদ্ধ হতে পারতাম ৫-১০ বছরের জন্য।’ অথচ এমন হওয়ারই কথা ছিল না। বরং প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই তা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানানোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করার স্বাভাবিকতাই প্রত্যাশিত ছিল সাকিবের কাছে। দুর্নীতিবিরোধী এত ক্লাস করার পরেও কেন তিনি সেটি করলেন না? সাকিব বলছেন, ভুল। সেই ভুলের জন্য অনুতাপেরও শেষ নেই তাঁর, ‘বোকার মতোই এক ভুল করেছিলাম আমি। কারণ আমার অভিজ্ঞতা অনেক। আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি প্রচুর। দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে ক্লাসও তো কম করিনি।
আমার ওই ভুল করা একদমই উচিত হয়নি। যে ভুলের জন্য আমি ভীষণ অনুতপ্তও।’ এই ভুলে হাজার রকম মানুষের সংস্পর্শে আসার ব্যাপারটিরও ভূমিকা আছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমরা প্রতিদিন হাজারটা ফোন কল পাই। এসএমএস পাই। কয়টির কথা মনে রাখব? উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, ওই লোক (জুয়াড়ি দীপক আগরওয়াল) যখন শেষবার এসএমএস পাঠিয়েছিলেন, আমি তাঁকে চিনতেই পারিনি। এর আগে যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, আমি তাঁকে চিনতামও না। আমার কাছে তাঁর ফোন নাম্বারও ছিল না।’
এখন নিষেধাজ্ঞার যন্ত্রণা ভোগ করে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার বুঝেছেন যে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি তাঁর, ‘দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা এসব জানতেন এবং তাঁরা পরিস্থিতি বুঝেছেনও। কারোরই উচিত নয় এসব হালকাভাবে নেওয়া। ওই ধরনের বার্তা পেলে ওভাবেই জিনিসটি ফেলে রাখা উচিত নয় কারোরই। নিরাপদে থাকতে হলে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের তা জানানো উচিত। বলতে পারেন, বড় এক শিক্ষাই আমি পেয়েছি।’ সেই সঙ্গে এটিও বুঝেছেন যে নিজের চোখে মনে না হলেও অনেক কিছুই আইনের চোখে অপরাধ, ‘‘বেশির ভাগ ব্যাপার ঠিকঠাক করলে কখনো কখনো এমন মনে হয়ে থাকতে পারে যে, সব ঠিকই তো আছে। তখন মনে হয়, ‘কী আর হবে? কিছুই হবে না। আমি তো কোনো ভুল করছি না।’
নৈতিকতার দিক থেকে হয়তো ভুল নয়। কিন্তু আইন ও নিয়মের দিক থেকে ভুল থাকে। অনেক সময়ই এটি মনে থাকে না। আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল ঠিক তা-ই। আমার মাথায়ই আসেনি যে এই ভুল আমি করতে পারি। আসলে পাত্তা দিতে চাইনি। ভুলটি হয়ে গেছে সেখানেই।’’ সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্তও করছেন এখন।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। নিষিদ্ধ থাকার সময়টি যে বদলে দিয়েছে তাঁর মনোজগৎও, সেটিও বলেছেন হার্শা ভোগলেকে।এমন পারফরম করছিলেন যে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করেও ফুটছিলেন তিনি। সে কারণেই অনেক কিছুকে অগ্রাহ্য করতে শুরু করেছিলেন। খ্যাতির চূড়ায় থেকে নানা ধরনের মানুষের সংস্পর্শও দায়িত্বের কথা ভুলিয়ে দিয়েছে অনেক সময়। আবার অনেক কিছুকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রবণতাও ছিল।
ছিল সব কিছুকে গুরুত্ব না দেওয়ার মানসিকতা। এই সব কিছুরই যোগফল জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে সাকিব আল হাসানের নিষিদ্ধ হওয়া। আর কেউ নন, এই অলরাউন্ডার নিজেই তাঁর নিষেধাজ্ঞার পেছনের কারণগুলো এভাবে একের পর এক সাজিয়েছেন। মন খুলে সেসব বলেছেনও ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে। অবশ্য নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কম হওয়াকে নিজের সৌভাগ্য বলেও মনে করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আমি বিষয়টিকে একটু বেশিই হালকাভাবে নিয়েছিলাম মনে হয়। এখানে (সাক্ষাৎকারে) সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না।
দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর বুঝলাম তারা সব কিছু জানে। ভেতর-বাইরের খুঁটিনাটি সব কিছুই। আমিও সব প্রমাণ দিলাম। সত্যি বলতে কি, এই কারণেই নিষেধাজ্ঞা পেয়েছি মাত্র এক বছরের। না হলে আমি নিষিদ্ধ হতে পারতাম ৫-১০ বছরের জন্য।’ অথচ এমন হওয়ারই কথা ছিল না। বরং প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই তা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানানোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করার স্বাভাবিকতাই প্রত্যাশিত ছিল সাকিবের কাছে। দুর্নীতিবিরোধী এত ক্লাস করার পরেও কেন তিনি সেটি করলেন না? সাকিব বলছেন, ভুল। সেই ভুলের জন্য অনুতাপেরও শেষ নেই তাঁর, ‘বোকার মতোই এক ভুল করেছিলাম আমি। কারণ আমার অভিজ্ঞতা অনেক।
আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি প্রচুর। দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে ক্লাসও তো কম করিনি। আমার ওই ভুল করা একদমই উচিত হয়নি। যে ভুলের জন্য আমি ভীষণ অনুতপ্তও।’ এই ভুলে হাজার রকম মানুষের সংস্পর্শে আসার ব্যাপারটিরও ভূমিকা আছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমরা প্রতিদিন হাজারটা ফোন কল পাই। এসএমএস পাই। কয়টির কথা মনে রাখব? উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, ওই লোক (জুয়াড়ি দীপক আগরওয়াল) যখন শেষবার এসএমএস পাঠিয়েছিলেন, আমি তাঁকে চিনতেই পারিনি। এর আগে যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, আমি তাঁকে চিনতামও না। আমার কাছে তাঁর ফোন নাম্বারও ছিল না।’
এখন নিষেধাজ্ঞার যন্ত্রণা ভোগ করে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার বুঝেছেন যে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি তাঁর, ‘দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা এসব জানতেন এবং তাঁরা পরিস্থিতি বুঝেছেনও। কারোরই উচিত নয় এসব হালকাভাবে নেওয়া। ওই ধরনের বার্তা পেলে ওভাবেই জিনিসটি ফেলে রাখা উচিত নয় কারোরই। নিরাপদে থাকতে হলে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের তা জানানো উচিত। বলতে পারেন, বড় এক শিক্ষাই আমি পেয়েছি।’
সেই সঙ্গে এটিও বুঝেছেন যে নিজের চোখে মনে না হলেও অনেক কিছুই আইনের চোখে অপরাধ, ‘‘বেশির ভাগ ব্যাপার ঠিকঠাক করলে কখনো কখনো এমন মনে হয়ে থাকতে পারে যে, সব ঠিকই তো আছে। তখন মনে হয়, ‘কী আর হবে? কিছুই হবে না। আমি তো কোনো ভুল করছি না।’
নৈতিকতার দিক থেকে হয়তো ভুল নয়। কিন্তু আইন ও নিয়মের দিক থেকে ভুল থাকে। অনেক সময়ই এটি মনে থাকে না। আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল ঠিক তা-ই। আমার মাথায়ই আসেনি যে এই ভুল আমি করতে পারি। আসলে পাত্তা দিতে চাইনি। ভুলটি হয়ে গেছে সেখানেই।’’ সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্তও করছেন এখন। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। নিষিদ্ধ থাকার সময়টি যে বদলে দিয়েছে তাঁর মনোজগৎও, সেটিও বলেছেন হার্শা ভোগলেকে।