সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু কীভাবে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্রায় গোটা ভারতের মানুষ। সুশান্তের মৃত্যুর পর এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন পায়েল। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মনোবিদ ডক্টর কেশরি চাভড়ার বিরুদ্ধে।
পায়েল অভিযোগ করেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের চিকিৎসা যিনি করছিলেন, সেই কেশরি চাভড়ার ওষুধ খেয়ে সুশান্ত আরও বেশি করে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছিলেন। শুধু তাই নয়, কেশরি চাভড়ার সঙ্গে মহেশ ভাট এবং দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন পায়েল। এসবের পশাপাশি পায়েল আরও দাবি করেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করা হয়ছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পায়েল এর আগে আরও দাবি করেন, মহেশ ভাট-ই নাকি রিয়া চক্রবর্তীর মাধ্যমে সুশান্তকে চিকিতসকের কাছে পাঠান। মহেশ ভাটের কথা মতোই সুশান্তকে চিকিতসকের কাছে নিয়ে গিয়ে রিয়া ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন বলেও দাবি করেন পায়েল রোহতগি।
গোটা ভারত যখন করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায়, হঠাতই বলিউডের ওপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। আত্মহত্যা করলেন বলিউডের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সুশান্ত সিং রাজপুত। রবিবার মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত লাশ। বাড়িতে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন তিনি।
১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তাঁর পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। অভিনয়ের তাগিদ থেকেই শেষ মেশ মুম্বইয়ে চলে আসেন সুশান্ত। সেখানে ২০০৮ সালে প্রথম একতা কপূরের প্রযোজনায় ‘কিস দেশ মে হ্যাঁ মেরা দিল’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ পান।