‘নায়ক-নায়িকাদের, গায়ক-গায়িকাদের অথবা যে কোন সেলিব্রেটিকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে। তখন আমাদের যা করতে হয়- ‘আচ্ছা আপু, আপনি কি খেতে পছন্দ করেন? উত্তরটা এমন হয়- আমি ভেজিটেবল খেতে পছন্দ করি, ওয়াটারমেলন জুস খেতে পছন্দ করি। আমি একদম রিচ ফুড খাই না, আলুভর্ত খাই না। আপনি কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন? উত্তরটা এমন হয়, আমি বালি যেতে পছন্দ করি।
বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও ঘুরতে যান না? তখন বলতে হয় বাংলাদেশের মধ্যে কেউ ঘোরে নাকি! বাংলাদেশে ঘুরতে ভালো লাগে না। আমার লন্ডন ভালোলাগে। বালি ভালোলাগে। আবার যখন প্রশ্ন করা হয় আপনার ফেভারিট হিরো কে? তখন বলতে হয়- আমার ফেভারিট হিরো ব্রাডপিট, লিওনার্দো দ্য ক্যাপ্রিও, আলপাচিনো, টমক্রুজ। এদে র ছবি ছাড়া আমি কোন ছবি দেখি না।’
একটা ভিডিওতে তারকাদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিজ্ঞতা এভাবেই শেয়ার করলেন ঢাকাই সিনেমার এই সময়ের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। এই ভিডিওটি নিয়ে কমেন্ট ঘরে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। ভিডিওটিতে মাহি আরও নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। এসব ইন্টারভিউ প্রকাশ হওয়ার পর কাছের বন্ধুদের মুখোমুুখি যখন হতে হয়। তখন আবার অন্যরকম বলতে হয়। কী বলতে হয়? সেই বর্ণনাও দিয়েছেন মাহি। বন্ধু বান্ধবরা যখন বলেন, তুই তো আলুভর্তা পছন্দ করিস, শুটকী মাছের ভর্তা পছন্দ করিস? তুই আবারা কবে ইংলিশ সিনেমা দেখলি? এসব নায়কের নাম কোথায় থেকে জানলি? তখন আবার তাদের বুঝাতে হয়, তারকা খ্যাতির কারণেই এসব বলতে হয়। কারণ তারকাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেন করে চলতে হয়।
মাহি আরও জানান, প্রিয় তারকাদের নামের স্থানে দেশি তারকা, যেমন বাপ্পী, সাইমন এদের নাম বললে নানান রকম রিউমার ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই বলতে হয় সালমান শাহ, মান্না স্যারের নাম। তাহলে কোনো রিউমারের সম্ভাবনা নেই। আর বিদেশি তারকার নাম বলাটা একদম সেইফ জোন। ভিডিওর শেষের দিকে মাহি নিজের মতামতও তুলে ধরেন। এসব তিনি মোটেও পছন্ত করেন না বলে জানান। মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমাদের এইরকম বলতে হবে কেন? আমার যেটা ভালো লাগে সেটা আমি কেন বলতে পারব না। আমার টকটকা কমলা কালার পছন্দ, এটা আমি বলতেই পারে। এখানে জাজমেন্টাল হওয়ার কিছু নাই। সবাই নায়িকা সুলভ হয় না। আমি তাদের মতো না। আমি সেরকম না। আমার যা ভালো লাগে সেটা বলতে পছন্দ করি। আমার কোনো কিছু যদি আপনার খারাপ লাগে, তাহলে আমাকে ইনবক্সে করতে পারেন। যেটা ভালো লাগবে না সেটা ইগনোর করেন। সবার সামনে একটা মানুষকে ছোট করার প্রয়োজন নাই।