মেয়েকে ছদ্মপরিচয়ে হার্ভার্ডে পাঠান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১৪:৫৭

দাদা নাকি আদর করে নাম রেখেছিলেন জিয়াও মুজি। এছাড়াও কূটনৈতিক নিরাপত্তার কারণে ছদ্মনামের আড়ালে মাঝে মাঝে গোপন থেকেছে তার পোশাকি পরিচয়। জীবনযাপনে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বিপরীত মেরুতে থাকা জি মিংজে প্রচারের আলোয় কার্যত আসতেই চান না। বাইরের দুনিয়া প্রায় জানেই না চীনের প্রেসিডেন্টের একমাত্র মেয়ের নাম।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার লোকসঙ্গীত শিল্পী স্ত্রী পেং লিউয়ানের মেয়ে জি মিংজে-এর জন্ম ১৯৯২ সালের ২৭ জুন। ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরের পড়াশোনা শেষ করে জি পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়, ২০১০ সালে। গন্তব্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু তিনি যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, সে খবর অন্তত দু’বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট স্তরের বাইরে প্রকাশিত হয়নি। চূড়ান্ত গোপনীয়তার মধ্যে ছদ্মনাম ও পরিচয়ে জি সেখানে পড়াশোনা করেন মনস্তত্ব এবং ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে।
জি যখন হার্ভার্ডে যান, তখনও তার বাবা চীনের প্রেসিডেন্ট হননি। কিন্তু জিয়ের দাদা জি ঝোংজুন ছিলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী নেতা। মাও সে তুংয়ের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন জি ঝোংজুন। ফলে প্রথম থেকেই হার্ভার্ডে চরম গোপনীয়তা পালন করতে হয়েছে জি-কে।

সব সময়ই তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করত বিশেষ নিরাপত্তারক্ষীর বাহিনী। বাইরে সাধারণ ছাত্রীর পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করলেও নির্দেশ মতো বেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনি বন্ধুত্ব করতে পারেননি। অবসর সময়ে জি ভালবাসেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই পড়তে। ফ্যাশনেও আগ্রহ আছে তার।

নব্বইয়ের দশকে জি-এর শৈশবের কিছু ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তার পর তিনি চলে যান গোপনীয়তার অন্তরালে। সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার কোথাও ছিলেন না তিনি। এখনও যে তাকে বিশেষ প্রকাশ্যে দেখা যায়, সে রকমও নয়। তার সম্বন্ধে তথ্য বা তার ছবি, দুই-ই বিরল।

তাকে প্রথম প্রকাশ্যে স্বপরিচয়ে দেখা যায় ২০১৩ সালে। তার বাবার চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পরে। বাবা এবং মায়ের সঙ্গে তিনি দেশবাসীকে বসন্তোৎসব এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us