করোনা পরিস্থিতিতে অসম বাণিজ্য বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১৪:৩১

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ আড়াই মাস পর দেশের সর্ব উত্তরের চার দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৩ জুন। এই দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ-ভারতে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন থাকায় দুই দেশে নাগরিক পারাপার ব্যতীত সকল আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্দরটি চালুর বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে মত থাকলেও জেলা প্রশাসন সব শেষে আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ১৩ টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।এর আগে একই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক ও চিঠি আদান-প্রদান হয়।

১১ জুন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বন্দরের সকল কার্যক্রম চলবে। এই সময় প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন বন্দরে ১০০ ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে। তবে বাংলাদেশ থেকে কি পরিমাণ ট্রাক ভারতে প্রবেশ করতে পারবে এই ব্যাপারে নির্দেশিকায় উল্লেখ নেই।

১৩ জুন থেকে আজ (২২ জুন) পর্যন্ত ভারত থেকে ছয়শ'র বেশি ট্রাক পাথর আমদানি করা হলেও সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে তার সিকি অংশ পন্য রফতানি হয় নি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) থেকে রফতানির অপেক্ষায় আটকে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের ৪ টি ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৩ টি পণ্য বোঝাই কার্গো।

বাংলাবান্ধা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক বলেন, আমদের পক্ষ থেকে পণ্য পাঠাতে কোন সমস্যা নাই। সমস্যটা হচ্ছে ভারতের দিক থেকে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি কোন চিঠি না দেয়ায় এই ব্যাপারে বিশদ কিছু জানা নেই আমাদের।

তবে তারা যেহেতু পণ্য রপ্তানি করছে আমরাও রপ্তানি করতে পারবো এই ক্ষেত্রে আলাদা কোন নির্দেশনা থাকার কথা না। আর যতটুকু জেনেছি ভারতের সিএন্ডএফ এজেন্ট বলেছেন আমদানিকারকের পক্ষে কোন প্রতিনিধি না থাকায় তারা পণ্য নিতে পারছেন না। কিন্তু আমাদানিকারক ও রফতানিকারকের মধ্যে আলোচনা ছাড়া ঢাকা থেকে পণ্য পাঠানোর কথা নয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us