চীনের উহান থেকে জেগে উঠে পুরো পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশেও এই প্রাণঘাতী ভাইরাস জেঁকে বসেছে। তছনছ হয়ে গেছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবন। চাকরি ব্যবসা হরিয়ে মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থায় মানুষের জীবন জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে সরকার যখন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে ব্যস্ত, তখন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মেতে আছেন তিন জনপ্রতিনিধি।
সে কারণে তাদের নিয়ে বয়ে যাচ্ছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তাদের মধ্যে একজনের কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। অর্থ ও মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন এমপি পাপুল। এ ঘটনা বিশ্ব মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, শুধু টাকা বিলিয়ে অপরাধ জগতের চিহ্নিত মাফিয়া কিভাবে জাতীয় সংসদ সদস্যের পদটি পর্যন্ত বাগিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অদৃশ্য জাদুর ছোঁয়ায় পাপুল তার স্ত্রীকেও বানিয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। উভয়েই দেশ থেকে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচারের পাশাপাশি মানব পাচারের জঘন্য বাণিজ্য ফেঁদে বসেছেন।
এমপি পাপুল ও এমপি সেলিনা ইসলাম দম্পতির মাফিয়া সিন্ডিকেট মাত্র ৭-৮ বছরেই বাংলাদেশ থেকে ২০ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ আছে। সমালোচনার তুঙ্গে থাকা অন্য দুইজন হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক। তারা দুজনেই সরকার দলীয়।