দুই-একদিনের মধ্যেই পার্বত্য এলাকা ও হাওরে বন্যার আশঙ্কা

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ০৬:১০

ভারী বৃষ্টির কারণে আগামী দুই একদিনের মধ্যেই পার্বত্য এলাকা, হাওর ও উত্তরাঞ্চলের রংপুর, লালমনিরহাটে বন্যার আশঙ্কা আছে। এছাড়া চলতি মাসের শেষে যমুনা নদী এলাকা অর্থাৎ দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন্যা ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ভারী বৃষ্টির ফলে এখনই পার্বত্য ও হাওর এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। আর গতকাল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি থাকবে আজও। ফলে ওই এলাকাগুলোতে দুই একদিনের মধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখন তো দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানিও বাড়ছে। এরমধ্যে কোনও কোনও জায়গায় পানি বেড়ে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যমেয়াদী বন্যা চলতি মাসের শেষেই হতে পারে। তিনি বলেন, এখনই চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা, হাওর এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে । এতে বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সেখানে এক দুইদিনের মধ্যেই বন্যা হবার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, সামনের কয়েকদিনের মধ্যেই পার্বত্য এলাকা, হাওর ও উত্তরাঞ্চলের রংপুর, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বন্যার আশঙ্কা আছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ আশেপাশের এলাকা অর্থাৎ মধ্যাঞ্চলসহ যমুনা নদীর এলাকায় এ মাসের শেষের দিকে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র তাদের নদ নদীর পরিস্থিতি বিষয়ে জানায়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং গঙ্গা -পদ্মা নদ নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তারা জানায়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক আবহাওয়া মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে , ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশ এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে এ সময়ে মেঘনা অববাহিকার সুরমা-কুশিয়ারা, কংস, সোমেশ্বরী এবং দক্ষিণ-পূব পার্বত্য অববাহিকার সাঙ্গু, মাতামুহুরি এবং হালদা নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারতের উত্তরাঞ্চলের সিকিম এবং জলপাইগুড়ি অংশে আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা এবং ধরলার পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে ভারী বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আকাশে মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে দেশের প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের (১৯ জুন) পর পর ভারী বৃষ্টির মাত্রা কমে আসবে। তবে একেবারে কমবে না। থেমে থেমে আবারও হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us