আমাদের সম্পর্কই আমাদের সিগন্যাল পাঠাবে যে সম্পর্কে ব্রেক নেওয়া দরকার কিনা। যে ছয় কারণে বুঝবেন যে সম্পর্কে কিছুটা ব্রেক নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে, তা জেনে নিন। এক নাগাড়ে কাজ করতে করতে যেমন মাঝে মাঝে ব্রেক নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে, তেমনই সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্রেক নেওয়া দরকার। তবে মনে রাখবেন ব্রেক নেওয়া মানেই কিন্তু ব্রেক আপ নয়। অনেক সময় সম্পর্ক বাঁচাতেই কিছু সময়ের জন্য পরস্পরের থেকে দূরে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।
ব্যক্তিগত সমস্যা অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ছাপ পড়ে। আবার পরস্পরের সঙ্গে নিত্যদিনের একঘেয়েমি থেকেও সম্পর্কে তিক্ততা এসে যায়। এই সব ক্ষেত্রে কিছু সময়ের জন্য পরস্পরের থেকে দূরে থাকলে হারিয়ে যাওয়া টান ফের অনুভূত হতে পারে। তাই সম্পর্কে ব্রেক নেওয়ার কথা শুনে ভেঙে না পড়ে বরং সম্পর্ক বাঁচানোর তাগিদেই কিছু সময়ের জন্য দূরে দূরে থাকতেই পারেন। অল্পেই খিটখিটে আপনার সঙ্গী যা বলছেন বা যা করছেন, সব কিছুতেই কি আপনি রেগে যাচ্ছেন?
সঙ্গীর কোনও কথাই ধৈর্য্য ধরে শোনার মানসিকতা আর আপনার মধ্যে কাজ করছে না? তাহলে সময় এসে গিয়েছে কিছু সময়ের জন্য পরস্পরের থেকে দূরে থাকার। এই সময় সম্পর্কে কিছুদিনের ব্রেক নিলে আবার হয়তো আপনারা নতুন করে শুরু করতে পারবেন। সঙ্গীর প্রতি অনাসক্তি আপনার কি সঙ্গীর প্রতি অনাসক্তি এসে যাচ্ছে। তার প্রতি আর আগের মতো আকর্ষণ বোধ করছেন না? তাহলে এটা কিন্তু বড় সিগন্যাল হতে পারে ব্রেক নেওয়ার পক্ষে। কারণ এই ভাবে সম্পর্ক চলতে থাকলে তা বেশিদিন টিকবে না। তার থেকে একটা ব্রেক নিয়েই দেখুন না, সব কিছু নতুন করে শুরু করা যায় কি না। এক নাগাড়ে ঝগড়া ঝগড়া সব প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই হয়।
এটা কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে ঝগড়াই যদি নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সে ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ আছে বৈকি। ছোটখাটো সব বিষয়ে ঝগড়া হলে ভেবে দেখুন আপনাদের কিছুদিনের জন্য আলাদা থাকার দরকার আছে কি না। ব্রেক নিলে সমস্যার সমাধান হতেও পারে। সমস্যায় মনযোগ সুস্থ সুন্দর সম্পর্কে মধ্যে ভালোবাসা, ঝগড়া এবং পরস্পরের মান ভাঙানো খুব জরুরি। কিন্তু কোনও সম্পর্কে যদি সঙ্গী রাগ-অভিমান করে থাকলেও কিছু না যায় -আসে, সে ক্ষেত্রে ব্রেক নেওয়া দরকার। সঙ্গীর জীবনের সমস্যার দিকে মনে দিতে না পারলে সেই সম্পর্ক বেশি দিন টিকতে পারে না। নসম্পর্কে কিন্তু স্পেস থাকাটাও খুব জরুরি।