সিলেটের ‘ম্যাজিকম্যান’ ছিলেন কামরান

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০, ০৮:২৩

টেবিল টক, বক্তৃতা বা সমাজ হিতৈষী হিসেবে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের যশ খ্যাতি ছড়িয়ে সিলেটের পরতে পরতে। কেবল রাজনীতির মাঠের পাকা খেলোয়াড়ই নন। সঙ্গীত ও খেলার জগতে ছিল তার মুন্সিয়ানা। ব্যাট হাতে যেমন বলকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে ঝলক দেখাতেন। তেমনি প্রিয় ফুটবল দল আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসির জার্সি গায়ে মাঠে বলকে জালে জড়াতে দেখা যেতো তাকে। এক কথায় তিনি ছিলেন সিলেটের ‘ম্যাজিকম্যান’।

রাজনীতির মঞ্চে দরাজ কন্ঠে যেমন বক্তৃতা, তেমনি তার সুরেলা কন্ঠে গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সেই কামরান ঝিলিক আর দেখা যাবে না কোনো দিন। মঞ্চে দেখা যাবে না বক্তৃতা।  সিলেটের বড় ধরনের কোনো সংকট মানেই হাল ধরতে হাজির বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। নগর পিতা হয়ে বিগত দিনগুলোতে নগরবাসীকে সব ধরনের সংকট থেকে আগলে রেখেছেন। তার উপস্থিতি মানেই সংকট নিরসন নিশ্চিত। আর নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ছিলেন নগরবাসীর সুখ-দুঃখের সারথি। আর সংসদ নির্বাচন থেকে গ্রামগঞ্জে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্বাচন। সবখানে থাকতো তার সরব উপস্থিতি।

কামরানের উপস্থিতি যেন প্রার্থীর ভোটের পাল্লা ভারি করে দিতো। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কেবল সিলেটের মধ্যেই নয়, চট্রলার বীর মহিউদ্দিনের পাশেও হাড় খাটুনি দিতে দেখা গেছে তাকে। চার দলীয় জোট সরকারের সময় জনপ্রিয়তার কারণে বিএনপি-জামায়াতের চোখের বালি ছিলেন কামরান। তখন আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে। সিলেটের রাজপথে আন্দোলনে কামরান না থাকলে যেন সাহস হারিয়ে যেতো নেতাকর্মীর। যে কারণে বিএনপি-জামায়াতের গ্রেনেডের নিশানা থেকে দুই দফায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সিলেট রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুর্দান্ত পারফর্মন্সের কারণে সিলেট আওয়ামী লীগের ‘নিওক্লিয়াস’ বা ‘প্রাণ ভোমরা’ ছিলেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। কিন্তু পর পর দুইবার সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তাকে বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মহানগর সভাপতি পদ হারালেও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদে টিকে থাকেন।   

অবশেষে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে পৃথিবীর মোহ ছাড়তে হলো তাকে। সেই সঙ্গে সিলেটবাসী হারালো তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে। আক্ষরিক অর্থে সিলেটের আকাশ থেকে খসে পড়লো নক্ষত্র। ‘এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন মন্তব্য সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর।

রোববার (১৪ জুন) ভোর পৌনে ৩টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে আসা মৃত্যুর খবর যেনো সিলেটের ঘুমন্ত মানুষকে নাড়িয়ে দিলো। সুবেহ সাদেকের সময় অনেকে উঠে নামাজ পড়ে প্রিয় নেতার জন্য দোয়া করেছেন। সিলেট আওয়ামী রাজনীতির দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন বলেন, তিনি ছিলেন সিলেটের মানুষের নয়নের মনি। মহানগর কমিটিতে তিনি ছিলেন সভাপতি, আমি সেক্রেটারি। সে হিসেবে কামরান-আসাদ জুটি মানুষের মুখে মুখে ছিল। দলের অনেকেও এই জুটিকে গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া তার বর্ণাঢ্য রাজনীনৈতিক ইতিহাসের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুই যুগের উপরে (প্রায় ৩০ বছর) পার করেছেন। সে সুবাদে তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us