ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশব্যাপী মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা।শনিবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ দেশের ৩০টিরও অধিক স্থানে এ মানববন্ধন পালিত হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়িতে প্যাকেট প্রতি ৪ টাকা ও সিগারেটে মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করে তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়নগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪ টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধিহার ২৮.৫৭ শতাংশ। অপরদিকে কমদামি সিগারেটে প্রতি প্যাকেটে দাম বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধির হার মাত্র ৫.৪১ শতাংশ। অর্থাৎ সিগারেটের চেয়ে বিড়িতে প্যাকেট প্রতি ২ টাকা বেশি এবং শতকরা ২৩.১৬ শতাংশ বেশি। এটি বিড়ি শিল্পের ওপর চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। বিদেশি সিগারেট কোম্পানিকে সুবিধা দিতেই এ বৈষম্য করা হয়েছে। যা দেশিয় শিল্পের সঙ্গে বিমাতাসূলভ আচরণ ছাড়া কিছুই নয়।
ট্যাক্স কমানোসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা। এগুলো হলো- বিড়ির ওপর ট্যাক্স কমাতে হবে। বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। কমদামি সিগারেট ও বেশি দামি সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। নকল বিড়ির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে ও ভবিষ্যতেও বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না করে বিড়ি শিল্পের ক্ষতি করা সমীচিন নয়।