আবুল হাসান মাদায়েনি বর্ণনা করেন, একদিন ইমরান ইবনে হানতান তার স্ত্রীর নিকট আসলেন। ইমরান দেখতে অত্যন্ত কালো কুৎসিত বেঁটে ও কদাকার ছিলেন।স্ত্রী ছিল অত্যন্ত সুন্দরী। স্ত্রী তখন সাজগোজ করছিলেন।ইমরান তার নিকট গিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। স্ত্রী লজ্জিত হয়ে বললেন, কি হলো, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? মনে হয় আমাকে আজ নতুন করে দেখছো।
ইমরান গভীর আবেগে বললেন, এই স্নিগ্ধ সকালে মুক্ত বাতাসে সোনালী রোদের ঝলমলে আলোয় তোমার রূপ যেন শতগুণ বেড়ে গেছে। আমি যে চোখ ফেরাতে পারি না।স্ত্রী আনন্দিত গলায় বললেন, প্রিয়তম জান্নাতের সু-সংবাদ গ্রহণ করো। তুমি এবং আমি দু’জনই ইনশাল্লাহ জান্নাতি।
ইমরান বিস্মিত গলায় জানতে চাইলেন, কিভাবে বুঝলে?এভাবে যে, তুমি আমার মতো সুশ্রী স্ত্রী পেয়ে শুকরিয়া আদায় করেছো আর আমি তোমার মতো কুশ্রী স্বামী পেয়ে ধৈর্য্য ধারণ করেছি। ব্যস, সবর ও শোকর দু’টোর বিনিময়েই জান্নাত রয়েছে।