পরকীয়ার জেরেই খুন হন নাটোরের ইটভাটা শ্রমিক ওমর ফারুক মিঠু। স্ত্রী ও আপন বড় ভাই মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পুলিশ তদন্তে এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয় চত্বরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নাটোরের এসপি লিটন কুমার সাহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএসপি আকরামুল হোসেন, এএসপি (সদর সার্কেল) আবুল হাসনাত ও বাগাতিপাড়া থানার ওসি নাজমুল হাসান। নিহত মিঠু সদর উপজেলার সিংহারদহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তেবাড়িয়া ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন।
এসপি লিটন কুমার সাহা জানান, চার বছর ধরে মিঠুর স্ত্রী আম্বিয়ার সঙ্গে আপন বড় ভাই আব্দুল কাদেরের অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। আর এ সম্পর্ক স্থায়ী করতে ৩ জুন রাতে ভাই ও স্ত্রী মিলে মিঠুর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। একপর্যায়ে ঘুমিয়ে গেলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির গেটের কাছে ফেলে রাখেন। খবর পেয়ে মিঠুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।