ইংল্যান্ডের হেক্সামে একটি সাধারণ পারিবারে জন্ম নেয় দুই বোন। একজন ৬ বছর বয়সী জ্যাকলিন অন্যজন ১১ বছরের জোয়ানা। দুই বোনের মধ্যে খুব মিল ছিল। বাবা জন পোলক এবং মা ফ্লোরেন্স পোলক তাদের দুই মেয়েকে নিয়ে খুব সুখেই ছিলেন। তবে ১৯৫৭ সালের ৫ মে তাদের জীবনে ঘটে যায় মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা। জোয়ানা এবং জ্যাকলিন তাদের পাশের বাড়ির এক বন্ধুর সঙ্গে গির্জায় যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। দুই মেয়েকে একসঙ্গে হারিয়ে জন আর ফ্লোরেন্স পাগলের মতো হয়ে যায়। শোকে তারা এই জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়।
জন সবসময় প্রার্থনা করত এবং চাইত তার মেয়েরা আবার ফিরে আসবে। এমনকি ফ্লোরেন্সকেও সে সবসময় বলত একথা। ফ্লোরেন্স এ কথা তেমন আমলে নেয়নি কখনো। সে ভাবত একসঙ্গে দুই মেয়েকে হারানোর শোক জন এখনো ভুলতে পারেনি। তাই উল্টা পাল্টা কথা বলত।
এর পরের বছরই ফ্লোরেন্স গর্ভবতী হন। ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায় ফ্লোরেন্সের গর্ভে দুটি জমজ কন্যা সন্তান রয়েছে। এবার জনের ভাবনা আরো জোরালো হয়। ১৯৫৮ সালের ৪ অক্টোবর জন্ম নেয় কন্যা শিশু দুটি। তাদের নাম দেয়া হয় গিলিয়ান এবং জেনিফার।
শিশু দুটি বড় হতে থাকলে জন এবং ফ্লোরেন্স লক্ষ্য করেন অদ্ভূত কিছু বিষয়। তারা লক্ষ্য করেন গিলিয়ান আর জেনিফারের আঁচার আচরণ হুবহু তাদের মৃত মেয়ে জেনিফার আর জ্যাকলিনের মতো। জেনিফারের কপালে জ্যাকলিনের দাগের মতো একই চিহ্ন ছিল। তার কোমরে একটি জন্ম চিহ্নও ছিল যা জ্যাকুলিনেরও ছিল। গিলিয়ানদের এই চিহ্নগুলো ছিল না।