নবম সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন মজাহারুল হক প্রধান। তিনি বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে ৪৮ হাজার ৮২৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এই ভরাডুবির পর বিএনপির আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এ আসনে। এরপর বিএনপিতে শুরু হয়ে যায় গ্রুপিংয়ের রাজনীতি। একপক্ষ নিয়ন্ত্রণে করছেন পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম আর আরেকপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
পরে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে ভোটের মাঠে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। এবার সেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাজাহারুল হক প্রধানের কাছে পরাজিত হন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনের ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির। এই দুই পরাজয়ের পর থেকেই জেলায় কর্মী হারাচ্ছে দলটি।
সাংগঠনিক ভাবেও শক্তি হারাচ্ছে বিএনপি। সিনিয়র নেতারা যে যার মতো থাকছেন। ধীরে ধীরে গ্রুপিং বাড়ছে বিএনপির জেলা রাজনীতিতে। দলটির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও নেতা-কর্মীদের কোনো উপস্থিতি ছিলোনা। তাই দিন যতই যাচ্ছে গ্রুপিং ততই বাড়ছে। এর ফলে এক প্রকার নেতৃত্ব শূণ্যতায় ভুগছে জেলা বিএনপি। জেলার একাধিক কর্মী জানান, পঞ্চগড়ে বিএনপির একার রাজত্ব ছিলো ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনের সময়।