সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকে একের পর এক আপত্তিকর পোস্ট এবং কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হকের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আয়েশা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।সাংসদের পক্ষে মামলাটি করেছেন তার একান্ত সহকারী ও বাগমারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরুদ্ধে গোপনে বিয়ে করে প্রতারণা ও অনাগত সন্তান হত্যার অভিযোগ করেছিলেন আয়েশা আক্তার লিজা।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দিয়ে বিচার চাওয়ায় এর আগে সংসদ সদস্য এনামুল তাকে তালাক দেন। এবার তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হলো। মামলাটি হয় রাজশাহীর বাগমারা থানায়।
সর্বশেষ ঘটনা হলো, লিজার বিরুদ্ধে এমপি এনামুলের পক্ষে বাগমারা থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে লিজা এনামুল হককে স্বামী দাবি করে ফেসবুকে নানা রকম পোস্ট দিয়েছিলেন। লিজার বাড়ি নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায়। তিনি তার সঙ্গে এমপি এনামুলের একাধিক ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেন যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
তবে এমপি এনামুল হক দাবি করেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু আইনগতভাবে তালাকও হয়েছে। তবু বিভিন্ন সময়ে টাকার জন্য ব্ল্যাকমেইল করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সম্মানহানি করেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। ৩০ মে আয়েশা আক্তার লিজা প্রথম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমপি সাহেবের রক্ষিতা বা প্রেমিকা নই দ্বিতীয় বউ আমি।’ আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এমপি সাহেব আমার এই কথাটা যদি কারও কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়, তারা বিয়ের কাগজ দেখতে পারেন।’ এর দুই ঘণ্টা পরে আরেকটি পোস্টে লিখেন, ‘একজন সংসদ সদস্য অনেক বড় অবস্থানের মানুষ। তার বিরুদ্ধে চাইলেই কেউ মিথ্যা অপবাদ দিতে পারে না। আমার কথাগুলো যদি মিথ্যা হতো তাহলে এতক্ষণে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যেত। আমি যা কিছু বলছি এবং বলব সব সত্যি। আপনারা আমাকে বিরক্ত না করে ধৈর্য ধরে পাশে থাকুন।’