১৩ ঘণ্টা বসে থেকে নমুনা নিয়ে তবেই ফেরেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২০, ০৮:৫৩

বরিশালের উজিরপুরের যুগীরকান্দা গ্রাম! করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য বাড়ির দাওয়ায় সেই সকাল থেকে বসে আছেন এক যুবক। কিন্তু বাড়ির লোকজন কিছুতেই নমুনা দেবেন না। তাঁদের এক কথা, পরিবারের এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গ্রামের লোকজন তাঁদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালিয়েছে। সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে কেউ আর নমুনা দিতে চান না তাঁরা।

সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পরিবারের সবাইকে বুঝিয়ে শেষে রাজি করান। ১৩ ঘণ্টা বসে থেকে নমুনা জোগাড় করে তবেই ফেরেন। তিনি উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বিভূতি রঞ্জন বাড়ৈ (৩৬)। আড়াই মাস ধরে তিনি করোনার নমুনা সংগ্রহ করে চলেছেন। ইতিমধ্যে ২৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভূতির ত্যাগটা অন্য জায়গায়। গত ১৫ মার্চ থেকে করোনার নমুনা জোগাড়ের কাজ শুরুর পর থেকে এক দিনের জন্যও ছুটি নেননি তিনি। বাড়িও ফেরেননি। থাকেন উজিরপুর সদরে সরকারি ডাকবাংলোয়। অথচ করোনাযুদ্ধে নামার দুই দিন আগেই বিয়ে করেছেন। তবে বিভূতির গর্ব তাঁর পরিবারকে নিয়ে।

তিনিসহ তাঁর পরিবারের সাত সদস্য এই করোনাকালে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বাকিরা সবাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভূতির বড় বোন বিউটি রানী বাড়ৈ ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত টিবি হাসপাতালে নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেজ বোন নূপুর রানী নার্স হিসেবে আছেন ঢাকার তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নূপুর নিজেই আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। নূপুরের স্বামী স্বপন ওঝা তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রওশন জাহান আখতার জানান, নূপুর সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। বিভূতির সেজ বোন অর্চনা রানী উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট বোন রত্না রানীও নার্স।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us