বাগেরহাটের শরণখোলার আদুরী আক্তার নারী থেকে পুরুষ হয়েছেন। নাম পাল্টে রেখেছেন সানি ইসলাম। দুই বছর আগে বিয়েও করেছেন তিনি। বর্তমানে তার স্ত্রী পুতুল ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আদুরী আক্তার ওরফে সানি ইসলাম ওই উপজেলার ধানসাগর ইউপির খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের ছগির মুন্সির সন্তান।
ছগির মুন্সি বলেন, ২০১০ সালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজের সন্ধানে চট্রগ্রামে যাই। সেখানে ছোট একটি ব্যবসা শুরু করি। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। ২০১৭ সালে দেখি আদুরী মেয়েদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে। আর ছেলেদের মত আচরণ করে। সম্মান হারানোর ভয়ে ওকে ঘরে মধ্যে থাকতে বলতাম কিন্তু আদুরী আমাদের কথা শুনতো না। রাতে পাশের ঘরে বান্ধবীর বাসায় ঘুমাতে চাইতো। আদুরীর এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি শিকল খুলে সে চলে গেছে। একদিন পাশের বাড়ির এক মেয়ে এসে বলে আদুরী ছেলে হয়ে গেছে। ও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে।
তিনি আরো বলেন, সেই থেকে আদুরী অন্য এলাকায় বাসা নিয়ে থাকা শুরু করে আর গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। আমরা আড়াই বছর আগে আদুরীকে চট্টগ্রামে রেখে বাড়িতে চলে আসি। ৫ মে শুনি পুতুল নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেছে আদুরী। ওর স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এখন বউ নিয়ে বাড়িতে আসতে চায়। ১০ মে স্ত্রীকে নিয়ে আদুরী মোংলায় ওর মামার বাসায় ওঠে। সেখানে দুদিন থাকার পর বাড়িতে এলে করোনার কারণে ওদের ১৪ দিন আমার বাবার বাড়িতে আলাদা থাকতে বলি। সবকিছু জানার পর বুঝলাম ‘ও এখন আর মেয়ে নাই, পুরাপুরি ছেলে হয়ে গেছে।’