বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৎ এবং নির্ভরযোগ্য লোক হলেও তার সাংগঠনিক দক্ষতা নেই বলে মনে করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, অতীতে বিএনপিতে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, মান্নান ভূঁইয়াসহ আরো অনেকেই মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ক্যারিশমেটিক লিডার ছিলেন। তাদের মাধ্যমে যেকোনো সময় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু বর্তমান মহাসচিবের সেই কর্মদক্ষতা নেই। তিনি দলের মধ্যে একজন পুতুল মহাসচিব। তার ভূমিকা ডাকবাক্সের মতো। লন্ডন থেকে যে নির্দেশ আসে, সেটাই তার অনুমোদন দিতে হয়।
বিদেশ থেকে যে ওহী আসবে তা নিয়েই তাকে কাজ করতে হবে। কিন্তু ওই ওহী যে রাজপথের আন্দোলনে কোনো সুবিধা করতে পারবে না সেটি দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও জানেন। দল এতটাই এলোমেলো যে বিগত সময়ে বিএনপির সহযোগী ছাত্রদল, যুবদলসহ যেসব সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছে। অফিসের সামনে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে। নেতাদের অবরুদ্ধ রেখেছেন। এমন কি নেতাদের অনেকেই জানেন না কীভাবে এসব কমিটি হয়। কীভাবে কারা কমিটির নেতৃত্বে আসেন। অথচ এর দায় এসে পড়ে তাদেরই উপরে।
এ বিষয়ে একাধিক বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, মির্জা ফখরুল তো বিএনপিতে একটি পুতুল মহাসচিব। তার আলাদা কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি ইচ্ছা করলে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তারা বলেন, তিনি বিএনপির একজন অভিভাবক, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তিনি তার সেই পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না। মানববন্ধন কর্মসূচির মতো অনুষ্ঠান থেকে কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়, কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেন না। এমন অবস্থায় তার প্রতি কর্মীদের কি আস্থা থাকতে পারে?