যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভ দমনের মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প সত্যিই এমন কাজ করলে তাঁর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের একটি হাতিয়ারে পরিণত হবে পেন্টাগন। এই আশঙ্কায় ভীষণ চাপে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনোপোলিসে গত ২৫ মে পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে (৪৬) হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। সাত দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভ কোথাও কোথাও সহিংস রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন শহরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হোয়াইট হাউসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। ভয়ে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নেন। উসকানিমূলক নানা কথা বলার পর সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার ঘটনার পর একটি গির্জায় ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ও সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলিকে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা যায়। তাঁরা একসঙ্গে ছবিও তোলেন। এই ঘটনার পরই ট্রাম্প বিক্ষোভ দমনে হাজারো সশস্ত্র সেনা রাস্তায় নামানোর হুমকি দেন।
দেশের ভেতরে শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা নামাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্রোহ আইন বলবৎ করতে হবে, যার প্রয়োগ বিরল।পেন্টাগন বলছে, বিদ্রোহ আইন কার্যকর নেই। কিন্তু ট্রাম্পের হাবভাবে অনেকের মধ্যে এই আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে যে, তিনি তাঁর দেওয়া হুমকিকে বাস্তব রূপ দিতে পারেন। অর্থাৎ, বিক্ষোভ দমনে সেনা নামাতে পারেন ট্রাম্প। নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সেনা ব্যবহারের মতো ট্রাম্পের যুদ্ধাংদেহী মনোভাবে পেন্টাগন ভীষণ চাপ অনুভব করছে।