‘গ্রেট শয়তান যুক্তরাষ্ট্রের পতনের লক্ষণ আরো স্পট হলো’। সোমবার এক টুইট বার্তায় এ মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সেক্রেটারি রিয়াল এডমিরাল আলী শামখানি। তিনি বলেন, ‘ক্যারিবীয় অঞ্চলে ইরানের তেলের ট্যাংকার পৌঁছা প্রমাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র হামলা, গুপ্তহত্যা ও নিষেধাজ্ঞার যে ভয় দেখায় তা শূন্য এবং বৃথা।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ভয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার ছদ্মবেশকে আবার উন্মোচন করেছে। এ সব শব্দ যে বড় মিথ্যা তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’ শামখানি জোর দিয়ে বলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় তৈরি হওয়া বিক্ষোভ প্রমাণ করে গ্রেট শয়তান (সবচেয়ে বড় শয়তান) যুক্তরাষ্ট্রের পতনের লক্ষণ অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে আরো স্পষ্ট হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির নীচে হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে। সে বারবার বলতে থাকে, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ পরবর্তীতে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন হাজার হাজার মানুষ। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠে শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেন।