সিরাজগঞ্জে পুত্রবধূকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রাম্য সালিশির রায়ে শ্বশুরকে জুতার মালা পড়িয়ে পুরো গ্রাম ঘোরানো হয়েছে। শনিবার সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের বালিয়ামেন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে সালিশি বৈঠকে এমন রায় হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়েছে।
সালিশি সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে মেছড়া ইউনিয়নে তেঘুরী গ্রামের শাহ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুনের (১৭) সাথে বালিয়ামেন্দা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে শাকিলের (১৯) বিয়ে হয়। পুত্রবধূ সুন্দরী হওয়ায় তার ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শ্বশুর আমির হোসেনের। স্বামী শাকিল বাড়িতে না থাকায় বিভিন্ন সময় তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাজি না হওয়ায় শ্বশুড় বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। এবার ঈদ-উল-ফিতরে স্বামী শাকিল বাড়িতে আসলে শ্বশুড়ের কু-কর্মের কথা তাকে জানায় গৃহবধূ কবিতা খাতুন।
এমনকি শ্বশুড়ের দেয়া কু-প্রস্তাব বিশ্বাস করাতে স্বামী শাকিলের সামনেই কবিতা মোবাইল ফোনে শ্বশুড়ের সাথে প্রেমের অভিনয়ে কথা বলেন। ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে শাকিল তার বাবার বিরুদ্ধে এলাকার মুরুব্বী আবু সামা, জয়নাল ও বাদশাকে বিষয়টি জানান। এরপর মাতব্বরদের সমন্বয়ে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশে মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ স্থানীয় মৌলভীদের ফতুয়ায় বিচারের রায় হিসেবে আমির হোসেনকে পুরো গ্রামে জুতার মালা পড়িয়ে ঘুরানোর রায় ঘোষণা ও রায় কার্যকর করেন।
গৃহবধূ কবিতা খাতুন জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শ্বশুড় আমার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে শ্বশুড় আমির হোসেন পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার স্বামীকে জানানোর পর এ বিচার সালিশের আয়োজন করা হয়েছে।