ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে না জানিয়ে হাসপাতালের বর্ধিত অংশে করোনা ইউনিট চালু করেছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন রোগীর মৃত্যুর পর মূল ভবনের ছয়তলায় চালু হয়েছে করোনা ইউনিট। এখন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া বা করোনা ইউনিট চালু করতে বলা হয়েছে। যেকোনো হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়াতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এসব কক্ষ তৈরির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
কিন্তু হাসপাতালটিতে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর কোনো অনুমতি নেয়নি। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বর্ধিত অংশ জোড়াতালি দিয়ে এ ধরনের ইউনিট করেছে। তবে শুক্রবার ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে মূল ভবনের ৬ তলায় আজ থেকে আবার করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন করোনা ইউনিটে রোগীদের পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনার ছিলেন। হঠাৎ করে আগুন লেগে গেলে ডাক্তার, নার্সরা দৌড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন। বাইরে বের হয়ে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বিদ্যুতের সুইচ অফ করে দেন। কিন্তু সেখানে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পরে। তবে অনুমতি ছাড়া এভাবে হাসপাতালের বর্ধিত অংশে করোনা ইউনিট চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে।
আমাদের হাসপাতালে প্রাঙ্গণে সেটা তৈরি করা হয়েছিল। বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের বর্ধিত অংশে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে পাঁচজন রোগী মারা গেছেন। তারা হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে পারটেক্স ও হার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে ছিলেন। নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ মাহবুব (৫০), মনির হোসেন (৭৫), ভেরন অ্যান্থনি পল (৭৪), খোদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল আলম (৫০)। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০ এজেডএস/এনটি