ভাঙ্গায় দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিরাজ শেখ ও উজ্জল মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চুমুরদী গ্রাম সংলগ্ন পাশ্ববর্তি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফতেপুর্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দুই দল গ্রামবাসীর মাধ্যে সংঘষের্র ঘটনা ঘটেছিল। ওই সংঘর্ষে চুমুরদি গ্রামের লোকজনও অংশ নেয়।
ওই ঘটনার সৃত্র ধরে শুক্রবার সকালে সিরাজ সাথে উজ্জলের সঙ্গে এক পর্যায় কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ঢাল, সুরকি, টেটা, কাতরা, ইট পাটকেল সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই গ্রামবাসী কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ঘর ভাঙচুর করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সসহ এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদ জানান, আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইট-পাটকেলের আঘাতে কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনার কোন পক্ষ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।