রাজধানীতে তীব্র গতির কালবৈশাখী ঝড়, সাগরে থাকছে ৩ নম্বর সংকেত
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২০, ০৭:৩২
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) দিবাগত রাত এবং বুধবার (২৭ মে) ভোরে তীব্র গতিতে ঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব কাটতে না কাটতে আবারও তীব্র ঝড়ের মুখোমুখি হলো জেলাগুলো। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বাতাসের চাপ বেশি থাকায় এই ঝড় হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। ঈদের দিন অর্থাৎ ২৫ মে থেকে গত তিন দিন ধরেই চার সমুদ্র বন্দরে দেখাতে বলা হচ্ছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।
একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করে আবহাওয়া অধিদফতর। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে শুরু হয় ঝড়। এরপর টানা প্রায় আধা ঘণ্টা তুমুল বেগে ঝড়ো বাতাস ও বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর কমে আসে ঝড়ের বেগ। একই ধরনের ঝড় হয়েছে বুধবার (২৭ মে) ভোর সোয়া ৬টার দিকে। বাতাসের তোড়ে ঘুম ভাঙে অনেকের। মধ্যরাতের তুলনায় ভোরে বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল।
২০-২৫ মিনিট ধরে চলে তাণ্ডব। তবে ভোরে ঝড়ে তেমন বিদ্যুৎ চমকাতে দেখা যায়নি। তবে এসময় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ রাখা হয়।আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, 'উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে একটি লঘুচাপ রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াৱ বয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।'