গণস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে ‘প্রটোকল’ না মানার অভিযোগ ওষুধ প্রশাসন ও বিএসএমএমইউ’র
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২০, ২৩:৫৯
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের সরকারি অনুমোদনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিধিবদ্ধ প্রটোকল অনুসরণ না করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বলছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে, তারা ফলাফল পেলেই প্রকাশ করবেন। গণস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, তারা গোপনীয়তার চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। একইসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, বিএসএমএমইউ’র প্রতিবেদন পেলেই তারা ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এর আগে নিবন্ধনবিহীন কিছু ব্যবহার, পরীক্ষণ, সরবরাহ বা বাজারজাত থেকে যেন বিরত থাকা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলা ট্রিবিউনকে তারা এসব বিষয় জানান। যদিও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত করছে। তার দাবি, বিএসএমএমইউ ইতোমধ্যে তিনশ কিটের কার্যকরিতা পরীক্ষা করেছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে আমাদের স্টাডি শেষ হয়নি। তারা প্রথমে বলেছিল ব্লাড থেকে টেস্ট করবে, এখন বলছে, সেলাইবা ( লালা) থেকে টেস্ট করবে, গত ২০ মে তারা অ্যান্টিজেনের কিট দিয়েছে। স্টাডি শেষ হবে কীভাবে?’
অধ্যাপক বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের কাছে এসবের অফিসিয়াল ডকুমেন্টস রয়েছে। অথচ তারা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা বলছে। রক্ত থেকে পরীক্ষার বদলে লালা পরীক্ষার কারণে পুরো প্রটোকল বদলাতে হবে, তারপরও দ্রুততার সঙ্গে আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে প্রথম থেকেই গোপনীয়তার যে চুক্তি, সেটাও তারা বারবার ভঙ্গ করেছেন।’
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘সব কিছু শেষ হোক, আমরা আমাদের কথা বলবো। তারা যেভাবে কিট দিচ্ছে আমরা সেভাবেই করছি। আমরা এখন রিফিউজ করতে পারতাম, কিন্তু তাতে করে একটা ব্লেইম আসবে।’ ‘রিফিউজ না করে চুপচাপ কাজ করছি’ মন্তব্য করে ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘তারা যা দিয়েছে তা দিয়েই কাজ হচ্ছে। রেজাল্ট যা পাই তাই পাবলিশ করে দেব।’