বিবর্তনে ঢাকার ঈদ

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২০, ১৭:৪৪

ঢাকার বর্ণিল ইতিহাসের মতো বিবর্তনের পথ ধরে এগিয়ে চলেছে এই মহানগরের ঈদ উৎসব পালনের নানা আয়োজন। সমাজ কাঠামো আর নগর বিন্যাসের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ঢাকার ঈদ উৎসবের বৈশিষ্ট্য ও আচার-অনুষ্ঠান। ইতিহাসের একেক পর্যায়ে ঢাকার ঈদ পালনের বিবর্তন স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

অর্ধ-সহস্র বছর ছুঁতে যাওয়া জনপদ ঢাকা শুধু বৃহৎ বঙ্গদেশেই নয়, তাবৎ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক শহর, ঐতিহ্যের দিক দিয়েও যে শহর অগ্রগণ্য। ৪০০ বছর আগে মুঘল রাজধানীর গৌরব অর্জনেরও শতবর্ষ আগে সোনারগাঁও কেন্দ্রিক সুলতানি শাসনে বুড়িগঙ্গার তীরের জনপদ ঢাকা ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। তারও আগে সচল ও সজিব জনপদ রূপে ঢাকার সপ্রতিভ অস্তিত্ব এদেশের নদী ও মানুষের মতোই শত শত বছর ধরে প্রবহমান সত্তায় বিকশিত হয়েছে।

তবে, সুরম্য হর্ম্য, প্রাসাদ, দূর্গ, অট্টালিকার নগরী রূপে ঢাকার পরিকল্পিত বিকাশ মুঘলদের হাতে এবং ঢাকার সামাজিক বিন্যাস ও সাংস্কৃতিক জীবনের বিস্তারও মুঘল আমলেই সাধিত হয়। আধুনিক ঢাকার গোড়াপত্তন ধরা হয় তখনই।

বাংলায়, বিশেষত নিম্ন ও পূর্ববঙ্গে মসনদ-ই-আলা ঈসাখাঁ প্রমুখ বারো ভূঁইয়া পদাধিকারী স্থানীয় নৃপতিদের দমন করে মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সূচনা সম্রাট আকবরের আমলে। আকবরের রাজপুত সেনাপতি রাজা মানসিংহ প্রধানত নৌযুদ্ধ করতে করতে বৃহত্তর ঢাকা-ময়মনসিংহের সংযোগস্থল, বর্তমানে কিশোরগঞ্জের এগারসিন্ধু পর্যন্ত ছুটে এসেছিলেন এবং ঈসাখাঁকে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে আগ্রার মুঘল দরবারে নিয়েও গিয়েছিলেন।

বাংলায় মুঘল অভিযানের এই ঐতিহাসিক ঘটনায় পূর্ব বাংলায় মুঘল শাসনের পথ উন্মুক্ত হলেও ঠিক তখনই তারা এদেশের পুরোটা দখল করে ঘাঁটি গেঁড়ে বসতে পারেননি। আকবর বিহার, রাজমহল, বাংলার পশ্চিমাংশের কর্তৃত্ব নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হন। ততদিনে আকবরের মৃত্যু হয় এবং আকবর-ঈসাখাঁ মৈত্রীর ১০/১২ বছরের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়ে মুঘলদের অনুকূলে চলে যায়। কারণ, প্রবল ও ক্রমবর্ধমান মুঘল আধিপত্য ও আক্রমণের মুখে বাংলার বারো ভূঁইয়ারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয় এবং তাদের উত্তরসূরীদের মধ্যেও এমন কোন সাহসী ও যোগ্য শাসক পাওয়া যায়নি, যিনি মুঘলদের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে সক্ষম। ফলে বাংলার পশ্চিমাংশের মতো বাংলার পূর্বাঞ্চল তথা আজকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানাও শক্তিশালী মুঘল শাসনভুক্ত হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us