আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্টে হোম আদেশ ও জরুরি অবস্থার মেয়াদ আবারও বেড়েছে। ২২ মে রাজ্য গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যের স্টে হোম আদেশ আগামী ১২ জুন পর্যন্ত ও জরুরি অবস্থার আদেশ আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রাজ্যে এই দুই আদেশই ২৮ মে পর্যন্ত বহাল রয়েছে। তবে সিনেমা হল, জিম, ক্যাসিনোর মতো সর্বজনীন স্থানগুলো বন্ধ থাকবে। গত ২১ মে বিচারক সিন্থিয়া স্টিফেনস মিশিগানের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমারের জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি করার ক্ষমতা আছে বলে রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি পাওয়ার অব গভর্নর অ্যাক্টের অধীনে তিনি সেই ক্ষমতা পেয়েছেন। উল্লেখ্য, রিপাবলিকানরা জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির জন্য গত ৬ মে গভর্নরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন।
২১ মে গভর্নর বলেছেন, ২৬ মে থেকে রাজ্যে খুচরা দোকানপাট ও গাড়ি বিক্রির ডিলারশিপ খুলে দেওয়া হবে। খুচরা দোকানে ক্রেতা ১০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। গাড়ি ক্রেতাদের আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। অপরিহার্য নয় এমন চিকিৎসা সরঞ্জামের দোকান, দাঁতের চিকিৎসা, পশুপালনের জিনিসের দোকান ২৯ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ জন মানুষ একত্র হতে পারবেন। তবে জনসমাগম এলাকায় মাস্ক পরতে হবে। এদিকে মধ্য মিশিগানে বৃষ্টি এবং ইডেনভিল ও সানফোর্ড বাঁধ ভাঙার কারণে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য মিডল্যান্ড কাউন্টির সঙ্গে ২২ মে আরেনাক, গ্লাডউইন ও সাগিনো কাউন্টিতে নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
মিশিগান স্টেট সূত্রে জানা গেছে, মিশিগানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও নতুন করে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ৪০৩ জন। আগের দিন ২১ মে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের, আক্রান্ত হয়েছে ৫০১ জন। মিশিগানে করোনায় সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ১৫৮ জনের ও আক্রান্ত হয়েছে ৫৩ হাজার ৯১৩ জন। এখন মিশিগানে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে ২১ মে করোনার উপসর্গ নিয়ে মিশিগানের সেন্টজন হাসপাতালে একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে জানা গেছে। এ নিয়ে মিশিগানে করোনায় তিনজন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।