সবকিছু ভোগবাদী মানসিকতার হয়ে গেছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০, ১৩:৫৫

করোনার এই স্বেচ্ছাগৃহবন্দী সময়টায় মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী এবং পরিচালক তারিক আনাম খান কী করছেন। বিনোদন অঙ্গন নিয়ে কী ভাবছেন—এসব জানতেই বুধবার দুপুরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে করোনার এই সময়টায় কী করে কাটছে...পরিবারকে সময় দিচ্ছি। ছবি দেখছি, বই পড়া হচ্ছে। আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের খবর নিচ্ছি। ঠিক এই সময়টায় করোনা নিয়ে আপনার উপলব্ধি কী?প্রকৃতির সঙ্গে আমরা উল্টাপাল্টা আচরণ করেছি, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এর আগেও নানা ধরনের ভাইরাস পৃথিবীতে এসেছে, মহামারি হয়ে অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এর পরও যে শিক্ষাটা গ্রহণ করা উচিত, তা আমরা কখনোই গ্রহণ করিনি।

আমাদের উচিত, লোভের বশবর্তী হয়ে ভোগের পেছনে ছোটার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তা করা। সেটা কেমন?আমরা প্রায়ই টিভি ও পত্রিকায় দেখি, ফ্রিজ কিনবেন? টেলিভিশন কিনবেন? বাড়ি কিনবেন? জমি কিনবেন? এত এত কিস্তিতে নিতে পারবেন। সবকিছু ভোগের বস্তু। আমরা কেউই দেখিনি, আপনার এলাকায় একটা লাইব্রেরি করবেন? স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন—আমরা লোন দেব বিনা সুদে, এমন কথা কেউই বলছি না। মানুষ এত বেশি ভোগের পেছনে ছুটেছে, অন্য কিছু নিয়ে ভাবেনি।

ভোগ করে যে টেকা যায় না, তা করোনা প্রমাণ করে দিল। এই যে উপলব্ধি হচ্ছে, এটা কি মানুষ লম্বা সময় নিজেদের মধ্যে লালন করতে পারবে?আমার তো মনে হয় না। যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়, তার কিছুদিন পর এমনিতে মানুষ ভুলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষজনকে বলতে দেখছি, লকডাউন তুলে দাও। এই লকডাউন ফ্রিডমের ওপরে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা ফাস্ট ফুডের দোকানে এই খেতে চাই, ওই খেতে চাই। অথচ জীবনটাকে সুন্দর করে কীভাবে বাঁচাব, অন্যকে কীভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেব, তা নিয়ে ভাবছি না। ভোগবাদী সমাজ থেকে আমরা কেউ মুক্ত না। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা, অথচ করোনায় সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ওখানেই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us