প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় আম্পান অবশেষে শক্তি হারিয়ে চলে গেল। ডানা ঝাপটা দিয়ে গেল পশ্চিম উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং কলকাতায় প্রচণ্ড ধাক্কা দিলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশের পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
আম্পান যখন এই ধাক্কা দিল, এর মাত্র তিনদিন পরেই প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার এগারো বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে এই ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছিল খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায়। সেই ক্ষতই যেন তাজা করে দিয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
এ পর্যন্ত পাওয়া খবরের সূত্রগুলো বলছে, আম্পানের ঝাপটায় এবারও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা। বেশ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ধ্বসে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করলেও প্রবল বাতাসের তোড় পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা উপকূলকেই নাড়িয়ে দিয়ে গেছে।
খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ধ্বসে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কমবেশি সমগ্র উপকূলেই আম্পানের প্রভাব লাগলেও এবারের ঝড় পশ্চিম উপকূলের মানুষদের আইলার ক্ষতই উসকে দিল। দীর্ঘ সময় নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো মানুষগুলো আবার পড়ল বিপাকে।