ইতালিতে যে কারণে বাসাভাড়া দেয় না বাংলাদেশিদের

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০, ২০:৩১

শিল্পোন্নত দেশ ইতালি। ইউরোপের অপরূপ সুন্দর এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো জায়গা। দেশটির স্থানীয় মানুষগুলো খুবই সদালাপী। বিপদগ্রস্ত, অভাবী মানুষদের সাহায্য করতে দৌড়ে আসে। তারা কারো উপকার করতে না পারলেও অপকার করে না। তবে তাদের মধ্যে বর্ণবাদী বৈষম্য রয়েছে সীমিত আকারে। এ রকম একটি দেশে আমাদের বসবাস। যেখানে রয়েছে আইনের সু-শাসন, মানবাধিকার, অন্যরকম জীবন ব্যস্ততা যা জীবনকে ধন্য করে। আছে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। মানুষের মৌলিক যে পাঁচটি অধিকার এগুলো সরকার শতভাগ নিশ্চিত করেছে। এর একটি উদাহরণ চিকিৎসা। মানুষের জীবনে যতবড় রকমের অসুখ দেখা যায় না কেন সরকারিভাবে তা চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করার ব্যবস্থা রয়েছে। ইতালিতে দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে আজও পর্যন্ত দেখলাম না যে কোনো একজন গরিব মানুষ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে পড়েছেন। সরকার মানুষের বাঁচার জন্য মৌলিক ব্যবস্থাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। যে কারণে ধনী-গরিব বৈষম্য নেই বললেই চলে। এ রকম একটি উন্নত দেশে এসে আমরা আমাদের মনের পরিবর্তন করতে পারিনি। এই বিষয়টা নিয়ে যখন ভাবি আমার ভীষণ লজ্জা লাগে। আর এই লজ্জা শুধু আমাকে স্পর্শ করে না। আমার জাতিকে দারূণভাবে লজ্জার আবরণে ঢেকে দেয়। ৮০-৯০ দশকে ইতালিতে আজকের মতো প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশিও ছিল না। অভিবাসীদের এত সুযোগ-সুবিধাও ছিল না। কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস ছিল। তাদের নানা ধরনের অসুবিধায় জীবন অতিবাহিত হয়েছে। কাজ থেকে শুরু করে থাকাসহ বিবিধ সমস্যার মাঝে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবুও জাতিকে কারো কাছে ছোট করেনি। গত কয়েক বছর ধরে কিছু সংখ্যক অসাধু বাংলাদেশির জন্য দেশীয় রাজনৈতিক কোন্দল, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হিংসা বিদ্বেষের কারণে নাজুক অবস্থা চলছে ইতালিতে। এহেন কান্ড ইতালীয়রা ভালোভাবে দেখেও না। অন্যদিকে বাসা নিয়ে নানা অনিয়মের কারণে আমাদের এখন বাসা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশিরা বাসাভাড়া নিয়ে সঠিকভাবে পরিচালনা না করা এটা বড় সমস্যা। দেখা গেছে, ভাড়া নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি করে এরপর সেটা কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। ফলে কোর্টের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতে পারে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোর্টের রায় আসতে দু-বছর লেগে যায়। এই দুই বছর বাসার মালিক বাসা ভাড়া থেকে বঞ্চিত হন। এই কারণে বাসার মালিকরা বাংলাদেশিদের কাছে বাসা ভাড়া দিতে চান না। এভাবে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তবে সরাসরি বলে না বিভিন্ন অজুহাতে নিষেধ করে দেন। বাসা খালি থাকলেও যখন বাংলাদেশের নাগরিকের নাম শোনে তখন তারা রাজি হয় না। বাসা ভাড়া হয়ে গেছে বলে পাশ কেটে যান। এ রকমটা অনেক দেখা গেছে। বাংলাদেশি নাগরিকের নাম ইতালির বাসার মালিকদের কাছে ঝামেলা সৃষ্টির জন্য আতংক মনে হয়। যা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। অন্যান্য খাতে আমাদের সুনাম থাকলেও আবাসনে আমাদের কিছুটা দুর্নাম হয়েছে। সত্যিকার অর্থে বাসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমরা বেশ দুর্নাম করেছি। তাই আগের মত সচরাচর বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না ইতালির বিভিন্ন শহরে। একজন সুবিধা ভোগ করে আর পুরো জাতি তার মাশুল দেয়। বিষয়টা ভাবলে ভীষণ দুঃখ লাগে। বাসা ভাড়ার এজেন্সির বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে নম্বর নিয়ে যখন ফোন করা হয়। কথার ফাঁকে বলে আপনার দেশ কোথায় বাংলাদেশ বলতেই কথার সুর পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন নিজেকে খুব ছোট, অসহায় মনে হয়। এ রকম ঘটনার জন্য বাংলাদেশি জাতির প্রতি একটা অভক্তি কাজ করে তাদের মনে। এই ধরনের অপকর্মের কারণে আমরা বাসা থাকা সত্ত্বেও ভাড়া নিতে পারছি না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us