গ্রাম থেকে সারাদেশে কৃষক পাঠিয়ে যেমন ধান কাঁটা গেছে তেমনি মৌসুমি ফলও পৌঁছে দেয়া হবে ক্রেতাদের কাছে। এজন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি, ফার্মাস মার্কেট চালুর পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার। শনিবার এ উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের চাষি থেকে শুরু করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের শতাধিক মানুষকে নিয়ে অনলাইন বৈঠক করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলছে মধু মাস। বাগান থেকে বাজারে এখন মৌসুমি ফলের দাপট থাকার কথা। কিন্তু করোনার কারনে চাষি থেকে ভোক্তা সবাই রয়েছেন আতঙ্কে। বাজার এড়িয়ে চলছেন ভোক্তারা। আর দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চাষির কপালে। এ অবস্থায় কৃষি মন্ত্রণালয় শনিবার প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা বৈঠক করে অনলাইনে। যুক্ত ছিলেন প্রান্তিক চাষি, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও জেলার প্রশাসকরা। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, তিন চারদিনের মধ্যে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, ৩-৪ দিনের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে লিচু এবং আমের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে সেটি দূর করতে পারব। বৈঠকে উঠে আসে নানা ধরনের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গাড়িগুলো যাওয়ার সময় খালি যায়। সেক্ষেত্রে খালি ট্রাকের ভাড়া যদি কমিয়ে দিতে পারি কি না এ বিষয়ে বৈঠক করবো। দেখি ছাড় দিতে পারি কি না। করোনার কারনে যাতে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় মন্ত্রণালয়।