সাহ্রি খাওয়া শেষে শুক্রবার রাতে জেসিয়া ও তাঁর মা দুজনেই ঘুমাতে যান। এরই মধ্যেই ফেসবুকে রটে যায়, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন জেসিয়া মারা গেছেন! ফেসবুক কর্তৃপক্ষও তাঁর আইডিতে ‘রিমেম্বারিং’ লিখে দিয়েছে। এসব যখন ঘটছে, জেসিয়া তখনো ঘুমে। এদিকে পরিচিতজনদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, জেসিয়া মারা গেছে! কীভাবে কী! কেউ আবার শোকও প্রকাশ করেছেন। এদিকে ঘুম থেকে উঠে জেসিয়া নিজের মৃত্যুর খবরে নিজেই অবাক হয়েছেন। বাক্রুদ্ধ হয়েছেন। ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ ও ঘৃণা। শনিবার দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানা গেছে। এদিকে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় জেসিয়ার মা রাজিয়া সুলতানার। মেয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাঁরা জড়িত তাঁদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন তিনি। আগে বিভিন্ন পণ্যের স্থিরচিত্রের মডেল হিসেবে কাজ করলেও মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবার নজরে আসেন জেসিয়া ইসলাম। এরপর বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায়। সেরা ৪০-এ জায়গা করে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। তখন থেকে জেসিয়াকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। এসবে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। জেসিয়ার কথায়ও তা পরিষ্কার। প্রথম আলোকে জেসিয়া বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি কোনো কিছুতেই খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেখাই না। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ থেকে একটা গ্রুপ আমার খুঁত খোঁজার চেষ্টা করে। আমার হাসিতে সমস্যা, চলাফেরায় সমস্যা, বয়ফ্রেন্ডে সমস্যা, আরও কত কী! নানাভাবে বুলিং করে আসছে। ওসব আমি খুব একটা পাত্তা দিইনি। ভেবেছি, মজা করছে করুক, এটা তাঁদের নোংরা মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু তাই বলে, মৃত্যু নিয়ে মজা করবে! জীবিত আমাকে একেবারে মেরে ফেলবে! এ কেমন মজা! এ কেমন মানসিকতা, তা–ও আবার পুরো পৃথিবীর এমন একটা সংকটের সময়ে!’