You have reached your daily news limit

Please log in to continue


করোনা: হোটেল ব্যবসায় ৩ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ধস নেমেছে হোটেল ব্যবসায়। ৪৪টি তারকা হোটেলসহ সারা দেশের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল অতিথি শূন্য রয়েছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হোটেল খাত। করোনায় হোটেল খাতে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে ধস নেমেছে দেশের হোটেল ব্যবসায়। নতুন করে বুকিং দিচ্ছেন না কেউ। আগের বুকিং আদেশও বাতিল হয়েছে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অস্তিত্ব বাঁচাতে কর মওকুফ ও আর্থিক প্রণোদনা চান খাত সংশ্লিষ্টরা। তথ্য মতে, গত জানুয়ারি থেকেই হোটেল খাতে করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে তখন থেকেই বিদেশি অতিথি শূন্য হয়ে পড়ে হোটেলগুলো। আর গত ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পুরোপুরি অতিথি শূন্য হয় হোটেলগুলো। আর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এটার শেষ কবে, তা-ও বলতে পারছেন না কেউ। ফলে অনিশ্চয়তায় মধ্যে দিন কাটছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএইচএ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী জুন ২০২০ পর্যন্ত পূর্বানুমান হিসেবে তাদের অন্তর্ভুক্ত হোটেলগুলো এবং অন্যান্য ৫০০টি হোটেল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।  বিআইএইচএ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বিদেশি অতিথিদের বেশিরভাগই আসেন চীন, জাপান, ভারত, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও শ্রীলঙ্কা থেকে। সাধারণত বছরের এ সময়ে ৭০ শতাংশের বেশি রুমে অতিথি থাকলেও করোনার প্রভাবে সেটি ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।   তারকা হোটেলগুলোর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বছরের প্রথম চার মাসে ব্যবসায়িক কাজে বিদেশিরা বেশি আসেন। তারকা হোটেলে তারা থাকার পাশপাশি ব্যবসায়িক মিটিং করেন। এছাড়া পর্যটকরাও ঘুরতে এসে অনেকে তারকা হোটেলে ওঠেন। অন্যদিকে হোটেলের বলরুমগুলোতে হয় নানা রকম মেলা, সভা, সেমিনার ও অনুষ্ঠান। প্রায় প্রতিটি হোটেলেই এ সময়ে ৭০-৮০ শতাংশ রুমে অতিথি থাকেন। কোনো কোনো হোটেলে শতভাগ রুম অতিথিতে পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্রমাগত বুকিং বাতিল হয়েছে। নতুন করে অতিথিরা বুকিং করছেন না।  রাজধানীর প্রাচীনতম পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এরই মধ্যে তাদের সুইমিংপুল, জিমনেশিয়াম ও বারসহ বেশ কিছু সেবা সীমিত করে এনেছে। কর্মীদের অনেককে ছুটিও দিয়েছে।  আরেক পাঁচতারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হোটেলটির ৩০ শতাংশ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  হোটেল স্যারিনার নির্বাহী পরিচালক মাশকুর সারওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অবস্থার উন্নতি না ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়তে হবে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মহসিন হক হিমেল বাংলানিউজকে বলেন, যেখানে ৮০ শতাংশ অতিথি থাকতো সেখানে কমে মাত্র ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। হোটেল চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন