বিয়ে করে চুপিচুপি সংসার করছেন, অথচ জিজ্ঞেস করলেই একবাক্যে বলে দিতেন, ‘কই, না তো। আমরা তো এখনো বিয়ে করিনি।’ কেউ আবার চুপিসারে বিয়ে সেরে ফেলতে চাইলেও পারেননি। কেউবা চুটিয়ে প্রেম করছেন, শুধু বলতেন, ‘আমরা দুজন শুধুই বন্ধু।’ এমন ঘটনা দেশের বিনোদন অঙ্গনে হরহামেশাই ঘটে। বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটেছে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের জীবনে। বিয়ে করে বছরের পর বছর সংসার করেছেন। যখনই জিজ্ঞেস করা হতো, দুজনেই এড়িয়ে যেতেন। তবে সন্তান জন্মের পর সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি অনুষ্ঠানে সন্তান নিয়ে হাজির হলেই বিয়ের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। আর তখনই শাকিবের সঙ্গে বিয়ে ও সংসার গোপনের সব কথা বলেন। বিয়ের বিষয়টি যত দিন গোপন ছিল তত দিন ভালোই ছিল বলে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট লোকজনের মত। যখনই বিষয়টি সামনে আসে, দুজনের সম্পর্কে চিড় ধরে। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেন না। তবে শুধু সন্তানের কথা বিবেচনা করে সংসার টিকিয়ে রাখার চিন্তা করলেও একটা সময় দুজনের পথ দুদিকে বেঁকে যায়। তাঁরা এখন দুদিকে বসবাস করছেন। বর্তমানে তাঁদের পুত্রসন্তানটি অপু বিশ্বাসের কাছেই আছে। সম্প্রতি আলোচিত নায়িকা পরীমনিও তাঁর বিয়ের কাজটি গোপনেই সেরে নেন। এরপর ফেসবুকে বিয়ের খবরটি জানান তিনি নিজে। তাঁর বর কামরুজ্জামান রনি ছোট পর্দার নির্মাতা। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়ের ১০ মার্চ রাতে রাজারবাগ কাজি অফিসে লুকিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের ৮ দিন পর পরীমনি তাঁদের বিয়ের খবরটি জানিয়ে দেন। অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হকের ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ ছবির কাজ করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয় তাঁদের। একপর্যায়ে রনিই বিয়ের প্রস্তাব দেন পরীকে। মনে মনে রনির প্রতি দুর্বল পরী সেই প্রস্তাব এড়াতে পারেননি। লুকিয়ে বিয়ের কারণ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘আমার পরিবারের কেউ বিয়ের ব্যাপারটা জানে না। পালিয়ে বিয়ে করার মজাটা নিতে চেয়েছিলাম। সময় নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করব।’