‘মহামারী আল্লাহর আজাব’— হজরত আয়েশাহ (রা.)।‘মহামারী পীড়িত গ্রাম বা শহরে প্রবেশ নিষেধ। পক্ষান্তরে কেউ যদিপূর্বে আক্রান্ত জায়গায় থাকে, তাহলে সেখান থেকে পলায়ন করা নিষিদ্ধ। মহামারী আক্রান্ত এলাকা থেকে পলায়ন জিহাদের ময়দানথেকে পলায়নতুল্য অপরাধ’—বুখারি ৩৪৭৩, ৫৭২৮।ছোঁয়াচে রোগের সূচনাআফ্রিকার মুর মুসলমানরা তারিক বিন জাহিদের সেনাপতিত্বে ৭১১ খ্রিস্টাব্দে জিব্রাল্টার বিজয় করে ক্রমে ৭২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পুরো স্পেন ও পর্তুগালে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং কর্ডোভায় রাজধানী স্থাপন করে। বর্তমানের বহুল প্রশংসিত কর্ডোভা ক্যাথেড্রাল ৭০০ বছর (৮০০-১৫০০ খ্রিস্টাব্দ) ধরে পরিচিত ছিল আকর্ষণীয় কর্ডোভা মসজিদ রূপে, যা স্থাপন করেছিলেন মুসলিম মুর শাসকরা। পনেরো শতকে মুসলিম শাসনের পতন হলে স্পেনিয়ার্ডরা কর্ডোভা মসজিদের নতুন নামকরণ করে কর্ডোভা ক্যাথেড্রাল। কর্ডোভা ক্যাথেড্রালের স্পেনীয় নাম হচ্ছে ‘La Megquita’, মানে ‘দি মস্ক—মসজিদ’।মুসলমানদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও দ্বিধাবিভক্তির কারণে ১৪৯২ সালে স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। একই বছর পরিব্রাজক ক্রিস্টোফার কলম্বাস নতুন মহাদেশ আমেরিকা খুঁজে পান এবং সেখানে দিয়ে আসেন ইউরোপের রোগ হাম, বসন্ত ও যৌন রোগ গনোরিয়া। সঙ্গে নিয়ে আসেন বিস্তর স্বর্ণখণ্ড ও যৌন ছোঁয়াচে রোগ সিফিলিস। সিফিলিস রোগের জীবাণুর নাম ট্রেপেনোমা প্যালিডিয়াম। কলম্বাসের নাবিকদের অবাধ যৌনবিহারের মাধ্যমে সিফিলিস পুরো আন্দুলুসিয়া, পর্তুগাল ও ইতালিতে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৯৬ সালে ছড়িয়ে পড়ে ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডে। ফ্রান্সের সম্রাট অষ্টম চার্লস বিভিন্ন দেশ থেকে সংগৃহীত বিরাট ভাড়াটে সেনাদল নিয়ে ১৪৯৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইতালিতে প্রবেশ করেন, পথিমধ্যে ব্যাপক যৌন আমোদে অংশ নিয়ে নেপলস পৌঁছেন ১৪৯৫-এর ১২ মে।