মুজিব বর্ষেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ছাত্রলীগের

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২০, ০৯:৩৪

মুজিব বর্ষেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।নোয়াখালী ও খুলনায় পৃথক ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা রাবিকুল ইসলাম (২৫) গতকাল সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই দিন খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান ওরফে রাসেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এই ঘটনা ঘটে। এই দুই হত্যার প্রতিবাদে গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা ঘুরঘুর করে—এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, ‘শিবির যখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে, তখন অনেকে চুপ থাকেন। পক্ষেও বলেন না, বিপক্ষেও বলেন না। সেই সুশীলদের উদ্দেশে আমি বলব, আপনাদের কেন এত চুলকানি? ছাত্রলীগ আছে বলেই আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াত-শিবির মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আপনারা ঘুমাতে পারবেন না। জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা আপনাদের বাসায় গিয়ে হত্যা করবে। তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। ছাত্রলীগ কখনোই জামায়াত-শিবিরকে মেনে নেবে না।’ দেশের আনাচকানাচে যত শিবির ও সন্ত্রাসী আছে, তাদের গণধোলাই দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আল নাহিয়ান খান। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা আছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, ডাকসুর তথাকথিত ভিপির আশপাশে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা ঘুরঘুর করে। ডাকসুর ভিপি শিবিরকে পাশে নিয়ে কাজ করলে আমরা মেনে নেবে না। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী দিনরাত মাঠে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই শিবির-ছাত্রদল-সন্ত্রাসীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার না করে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকলে জামায়াত-শিবির ভয়ে থাকে।’ বাংলাদেশে ছাত্রশিবিরের কোনো স্থান হবে না—এমন মন্তব্য করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমরা যে চিত্র দেখেছি, জামায়াত-শিবির সেই চিত্রের পুনরাবৃত্তি করতে চায়। জামায়াত-শিবিরের চেহারা দেখলেই আমরা বুঝতে পারি।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ছাত্রলীগের একজন নেতা-কর্মীও বেঁচে থাকলে বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান হতে দেবে না। সারা দেশে জামায়াত-শিবিরকে আপনারা দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।’ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘অনেক সয়েছি, অনেক সুশীলতা দেখেছি, অনেক ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা দেখেছি। আজকে আমার ছাত্রলীগের ভাই হত্যার শিকার হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us