চারদিকে নকল ও অবৈধ পণ্যের ছড়াছড়ি। নকলের ভিড়ে আসল চেনা দায়। এর ফলে মার খাচ্ছে আসল পণ্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধও নকল হচ্ছে। দেশজুড়ে বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জঘন্য এ অপরাধ ঘটছে। দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রায় সব পণ্য নকল হচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় শপিংমলে বিক্রি হচ্ছে দেদার। এমন কায়দায় নকল পণ্য তৈরি করা হচ্ছে যে অনেক ক্রেতার পক্ষে ধরা কঠিন। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর অবৈধ উপার্জনের লিপ্সার কারণে সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন ক্রেতারা। পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ছোট কারখানায় বানানো হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল পণ্য। একশ্রেণির অপরাধী আবার বিদেশ থেকে দামি ব্র্যান্ডের কোনো পণ্যের প্যাকেট বা লেভেলের নকল দেশে নিয়ে আসছেন। এরপর ওই প্যাকেটে নকল পণ্য ঢুকিয়ে তা বাজারজাত করছেন। নকল পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ করতে বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে। বিভিন্ন অভিযানে পণ্য আটক হচ্ছে। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এরপরও নকল পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না।