পেশায় ব্যবসায়ী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান। উপযুক্ত বয়স থাকায় তাকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবা। মায়ের শখ ছেলেকে হেলিকপ্টার চড়িয়ে বিয়ে করাবেন, আর বাবার শখ পালকিতে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। বিচক্ষণ ফজলুর কারো শখকে বাদ দেননি। মা-বাবা দুইজনেরই শখ পূরণ করে বিয়ে করেছেন তিনি। এতে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বাহিরচর গ্রামে আলোচিত এই বিয়ে হয়। বর ফজলুর রহমান ওই গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভারে টেক্সটাইল কেমিক্যালের ব্যবসা করেন। স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুরের হাসমিলান গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার মেয়ে ফারিয়া জান্নাত মৌয়ের সঙ্গে প্রকৌশলী ফজলুর রহমানের বিয়ে ঠিক হয়। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ছয় কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে পালকি চড়ে বের হন বর। এরপর হেলিকপ্টার চড়ে চার মিনিটেই শ্বশুর বাড়ির এলাকায় পৌঁছে যান বরসহ তার পক্ষ। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন বড় ভাই বজলুর রহমান, বোন ও ভাগনি। বেলা ১ টা ৩৪ মিনিটে শ্বশুর বাড়ির এলাকা দিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারটি পৌঁছানোর পর আবার পালকি চড়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পালকি দিয়ে হেলিকপ্টারে আসেন। পরে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে আবারো নিজ এলাকায় পৌঁছান বর। তারপর পালকি চড়ে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাজাতে নববধূকে বাড়ি নিয়ে যান বর ফজলুর।