গ্রাম ও শহরের স্বল্প আয়ের মানুষের নিরাপদ ও সহজে অর্থ জমানোর জায়গা ডাকঘর। একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর সংসার চলে ডাকঘরে জমানো টাকার মুনাফা দিয়ে। কিন্তু সরকারের একটি সিদ্ধান্তে তাদের মাথায় যেন বাজ পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা এখন অর্থ রাখবে কোথায়? তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদ ৫০ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লুটপাট ও অনিয়মের কারণে গত কয়েক বছর ধরে দেশের বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। ফলে বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকল্প হয়ে উঠেছিল ডাকঘর। তার প্রমাণ মেলে ডাকঘরে মানুষের অর্থ জমানোর হিসাব কষলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণ মানুষ এখন সঞ্চয় করতে নিরুৎসাহিত হবে। বেশি লাভের আশায় মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিতে টাকা রেখে নিঃস্বও হতে পারে। জানা গেছে, অধিক সুদ এবং অর্থ ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকায় ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবে মানুষের অর্থ জমার পরিমান গত কয়েক বছর ধরে অব্যহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ হিসাবে (ডাকঘর) অর্থ জমার পরিমান চার বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জমা হয়েছে ২ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জমা পড়েছিল ১ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। ডাকঘরে স্থায়ী আমানত জমারও একই ধরা লক্ষ্য করা গেছে।